পাতা:সীতাদেবী - জলধর সেন.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সীতাদেবী ܦܬܠ ও প্ৰজারঞ্জনের ভার যখন গ্ৰহণ করিয়াছি, তখন ত আর স্বকীয় সুখ দুঃখের চিন্তা করিবার অবকাশ নাই। আমার হৃদয়ে বিষম শেলাঘাত হইলেও আমাকে কৰ্ত্তব্য পালন করিতেই হইবে। কিন্তু হায়, চিরজীবন দুঃখ ভোগ করিবার জন্যই কি আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছিলাম। আর সেই অভাগী জনকনন্দিনী । তাহার কথা মনে হইলে যে আমার শরীর অবসন্ন হইয়া পড়ে। ভগবান কি তাহার অদৃষ্টে সুখভোগ লেখেন নাই ? রাবণগৃহে এতকাল অসহনীয় কষ্ট ভোগ করিয়া সে মনে করিয়াছিল বুঝি বা তাহার দুঃখের দিন কাটিয়া গিয়াছে; জীবনের অবশিষ্ট কাল সে মনের সুখে অতিবাহিত করিবে। কিন্তু তাহার অদৃষ্টে যে এই ঘোর দুৰ্দশ লিখিত আছে, তাহা ত সে একদিনও ভাবে নাই। এখন ত উপায়ান্তর নাই। সীতাকে চিরজীবনের মত পরিাত্যাগ করিতেই হইবে। কিন্তু আমার বড়ই দুঃখ হইতেছে যে, তাহাকে পতিপ্ৰাণা জানিয়াও আমাকে এই কাৰ্য্য করিতে হইতেছে।” এই বলিয়া রামচন্দ্ৰ অশ্রুবিসর্জন করিতে লাগিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে তিনি ভরত, লক্ষমণ ও শক্রদ্মকে সেস্থানে আনিবার জন্য প্ৰতিহারীকে আদেশ প্ৰদান করিলেন । তঁহার আদেশ শ্রবণমাত্র সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, রামচন্দ্র করতলে কপোল বিন্যস্ত করিয়া রোদন করিতেছেন ; ভ্ৰাতৃগণের দিকে একবারও ফিরিয়া চাহিলেন না। রামের