পাতা:সীতারাম- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ সীতায়াম জয়ন্তী হাসিয়া বলিল, “এ কি আমার সৌভাগ্য ! এত কালের পর আমার জন্ত ভাবিবার একটা লোক হইয়াছে! আমি নাই যাইতে পারিলাম, তাতে ক্ষতি কি निनि ?” - স্ত্রী। রাজার হাতে পড়িবে—কি জানি, রাজা যদি তোমার উপর ক্রুদ্ধ হন । জ। হইলে আমার কি করিবেন ? রাজার এমন কোন ক্ষমতা আছে কি যে, সন্ন্যাসিনীর অনিষ্ট করিতে পারে ? জয়ন্তীর উপর ঐর অনন্ত বিশ্বাস। সুতরাং স্ত্র আর বাদায়বাদ না করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার সঙ্গে কোথায় সাক্ষাৎ হইবে ?” - জ। তুমি বরাবর—গ্রামে যাও। সেখানে রাজার পুরোহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিও। তোমার ত্রিশূল আমাকে দাও, আমার ত্রিশূল তুমি নাও। সে গ্রামের রাজার পুরোহিত আমার মন্ত্রশিষ্য। তিনি আমার চিহ্নিত ত্রিশূল দেখিলে তুমি যা বলিবে, তাই করিবেন। তাকে বলিও, তোমাকে অতি গোপনীয় স্থানে লুকাইয়া রাখেন। কেন না, তোমার জন্য বিস্তর খোজ তল্লাস হইবে। তিনি তোমাকে রাজপুরীমধ্যে লুকাইয়৷ রাখিবেন । সেইখানে তোমার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হইবে। তখন শ্ৰী জয়ন্তীর পদধূলি গ্রহণ করিয়া আবার বনবাসে নিষ্ক্রান্ত হইল। দ্বারবানেরা কিছু বলিল না । , , 像 সপ্তদশ পরিচ্ছেদ রামচাদ। ভয়ানক ব্যাপার! লোক অস্থির হয়ে উঠলো । স্যামচাদ। তাই ত দাদা। আর তিলাৰ্দ্ধ এ রাজ্যে থাকা নয়। রামচাদ । তা তুমি ত আজ কত দিন ধ’রে যাই যাই ক’চ্ছে—যাও নি যে ? শ্ৰামৰ্চাদ। যাওয়ারই মধ্যে, মেয়ে ছেলে সব নলডাঙ্গা পাঠয়ে দিয়েছি। তবে আমার কিছু লহনা পড়ে রয়েছে, সেগুলা যত দূর হয়, আদায় ওমুল ক’রে নিয়ে যাই। আর আদায় ওসুল বা করবে। কার কাছে—দেনেওয়ালারাও সব ফেরার হয়েছে। । রামর্চাদ । আচ্ছ, এ আবার নূতন ব্যাপার কি ? কেন এত হাঙ্গামা, তা কিছু জান ? শুনেছি না কি, হাবুজখানায় আর কয়েদী ধরে না, নূতন চালাগুলাতেও ধরে না, এখন না কি গোহালের গোরু বাহির করিয়া কয়েদী রাখছে ?