পাতা:সীতারাম- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soğ' সীতারাম চঞ্জ। তোমার হাতিয়ার আছে ? যুধি। আঙ্কে, এক রকম আছে। মুনিবের কাজে মধ্যে মধ্যে ঢাল শড়কী ধরিতে হয়। চঞ্জ। লইয়া যাইও । লক্ষ্মীনারায়ণজীউর হুকুম। এই হুকুম লও। এই বলিয়া চন্দ্রচূড় তর্কালঙ্কার জীবন ভাণ্ডারীর থলিয়া হইতে একটি টাকা লইয়া যুধিষ্ঠিরকে দিলেন। যুধিষ্ঠির টাকা লইয়—মাথায় ঠেকাইয়া বলিল, “যে আজে, অবশ্ব লইয়া যাইব । কিন্তু একটা কথা বলিতেছিলাম কি—এক যাব ?" চন্দ্র। কাকে নিয়ে যেতে চাও ? - & যুধি। এই পেসাদ মণ্ডল জোয়ানটাও খুব, খেলোয়াড়ও ভাল—সে গেলে হইত। তখন চন্দ্রচূড় আরও কতকগুলি প্রসাদী ফুল ও টাকা যুধিষ্ঠিরের হাতে দিলেন। বলিলেন, “যত লোক পার, লইয়া যাইও ।” - -- এই বলিয়া চন্দ্রচূড় ঠাকুর সেখান হইতে জীবন ভাণ্ডারীর সঙ্গে গৃহাস্তরে গমন করিলেন। সেখানেও ঐরূপ টাকা ও ফুল বিতরণ করিলেন । এইরূপে সহস্র মুদ্রা বিতরণ করিয়া রাত্রিশেষে গৃহে ফিরিয়া আসিলেন। প্রতে রমাতে সে রাত্রে এমনই আগুন জালাইয়া তুলিয়াছিল। পৃ. ১১, পংক্তি ২১, এই “চতুৰ্থ” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “পঞ্চম” পরিচ্ছেদ। পৃ. ১৩, পংক্তি ৫, এই পংক্তির শেষে ছিল— তিনি অতি প্রত্যুষে উঠিয়া যে পথে শ্ৰীকে নগর হইতে প্রাস্তরে আসিতে হইবে, সেই পথে দাড়াইয়া ছিলেন। প্রকে দেখিয়া উপযাচক হইয় তাহার সহায় হইয়াছিলেন। ঐ তাহাকে চিনিত, তিনিও ঐকে চিনিতেন। সে পরিচয়ের কারণ পরে জানা যাইতে পারে। পৃ. ২০, পংক্তি ১৭, এই “পঞ্চম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। পৃ. ২১, পংক্তি ১৬-১৭, “করিলেন। গঙ্গারাম সীতারামের” এই কথা কয়টির পরিবর্তে ছিল— - করিয়া বলিলেন, “আমি এখন ফৌজদারের কাছে शहेर-फूर्मि আমার সঙ্গে যাইবে ?” গঙ্গারাম সীতারামের কথা শুনিয়া না হউক, পৃ. ২১, পংক্তি ১৯, “চন্দ্রচূড়.গ্ৰ এদিকে” এই পংক্তিটির পরিবর্তে ছিল— এদিকে চন্দ্রচূড় ঠাকুর মূচ্ছিতা একে "ঝাড় ফুক” করিতেছিলেন। যদি সভ্য ভাষায় বলিতে হয়, বল, মেন্মেরাইস করিতেছিলেন। পরে শ্ৰী, যে কারণেই হউক, পৃ. ২১, পংক্তি ২১, এই পংক্তির শেষে ছিল— তার পর কাহাকে কিছু না বলিয়া ধীরে ধীরে নগরাভিমুখে চলিয়া গেল।