নগরাভিমুখে ধাবমান হইতেছিল। তাহারই এক জন সীতারামের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। বলিল, “তোম্ কোন্?”
সীতা। মনুষ্য।
সিপাহী। সো তো দেখ্তে হেঁ। নাম কিয়া তোমার?
সীতা। কি কাজ বাপু তোমার নামে?
সিপাহী। তোম্ বদমাস্।
সীতা। হবে।
সিপাহী। খানাবদোষ।
সী। সম্ভব।
সি। ডাকু হো?
সী। বোধ হয় কি?
সি। চোট্টা হৌগে।
সী। দিল্লীর বাদশাহের চেয়ে?
সি। কিয়া বোলো?
সী। বলি তুমি আমায় দিক্ করিতেছ কেন?
সি। তোম্কো গিরেফ্তার কোরেঙ্গে?
সী। আপত্তি কি?
সি। চল্।
সী। কোথায়?
সি। ফাটক্মে।
সী। চল। কিন্তু তুমি ত ঘোড়ায়। আমি হাঁটিয়া তোমার সঙ্গে যাইব কি প্রকারে?
সি। কদম কদম আও।
সিপাহী সাহেব কদম কদম চলিলেন। সীতারাম সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। সিপাহী এক জন পাইকের সাক্ষাৎ পাইয়া তাহাকে হুকুম দিলেন যে, “এই ব্যক্তি চোর, ইহাকে ফাটকের জমাদ্দারের কাছে পঁহুছাইয়া দিবে।”
অষ্টম পরিচ্ছেদ
চন্দ্রচূড় তর্কালঙ্কার শ্রীকে লইয়া নির্বিঘ্নে নগর মধ্যে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া তাহাকে লইয়া এক নিভৃত ক্ষুদ্র বাটিকা মধ্যে গমন করিলেন, বলিলেন, “আইস বাছা! এখানে বড় জাগ্রত কালী আছেন, প্রণাম করিয়া যাই। তিনি মঙ্গল করিবেন।”