፶ጫ « সীতারাম লি। তোবা! বেলা মং বোলে মায়ি ! তোম ঘর যাও । শ্ৰী। তোমার কল্যাণ হউক—আমি ঘরে চলিলাম। এমন সময়ে, আর এক জন সিপাহী সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। বলিল, “আরে আবরংকো পকড়তে হো কাহে ?” প্রথম সিপাহী দেখিল বিপদ। যদি দ্বিতীয় সিপাহীর সঙ্গে স্ত্রীলোকটার কথাবাৰ্ত্ত হয়, আর স্ত্রীলোকও যদি স্বীকার করে, তবে সিপাহী বিপন্ন হইবার সম্ভাবনা—প্রধান বিদ্রোহিণীকে ছাড়িয়া দেওয়ার অভিযোগ তাহার নামে হওয়া বিচিত্র নহে। অতএব সেই দয়ার্ড সিপাহী অগত্যা বলিল, “যেস্কি তোম্ ঢুগুকে সে যেহি হোতী হৈ ।” দ্বিতীয় সিপাহী। আল্লা আকবর ! চলে, চলে, বস্কী হুজুরমে লে চলো—হম দোনোকে বখলিস্ মিল যায়েগা । { প্রথম সিপাহী। ভাই! তোম্ লে যাও! হমার কুছ কাম হৈ । দ্বিতীয় সিপাহী এ কথা শুনিয়া বড় আনন্দিত হইল—শ্রীর ঘাড়ে ধাক্কা দিয়া লইয়া চলিল। প্রথম সিপাহী বড় বিষন্ন বদনে দাড়াইয়া রহিল। দুই জনের নাম দুইটা বলা যাক—প্রথমের নাম, খয়ের আলি– দ্বিতীয়, পীর বক্স। সিপাহীর কাছে ঘাড়-ধাক্কা খাইয়া ত্ৰ মুছ হাসিল। তখন সে ডাকিয়া, চন্দ্রচূড়কে বলিল, “ঠাকুর ! যদি আমার স্বামীকে চেনেন, তবে বলিবেন, আমার উদ্ধার তাহার কাজ।” শুনিয়া চন্দ্রচূড়ের চক্ষে দর দর ধারা পড়িতে লাগিল। চন্দ্রচূড় কাদিতে কাদিতে বলিলেন, “ম, তুমিই ধন্ত।”
নবম পরিচ্ছেদ সিপাহীরা পালে পালে বিদ্রোহী ধরিয়া আনিতে লাগিল। যাহার লাঠি চালাইয়াছিল, তাকুঞ্জ নির্বিঘ্নে স্বস্থানে অবস্থানপূর্বক তামাসা দেখিতে লাগিল। যাহারা ধৃত হইল, তাহারা প্রায় নির্দোষী । লোক ধরিয়া আনিতে হইবে, কাজেই সিপাহীরা যাহাকে পাইল, তাহাকে ধরিয়া আনিল । দোষীরা সাবধান ছিল, তাহাদিগকে পাওয়া গেল না। নির্দোষীরা সতর্ক থাকা আবশ্বক বিবেচনা করে নাই— তাহারা ধৃত হইতে লাগিল । কেহ ই করিয়া সিপাহী দেখিতেছিল, অতি সাহসী বলিয়া সে ধৃত হইল । কেহ সিপাহী দেখিয়া ভয়ে পলাইল, যে পলায়, সে দোষী বলিয়া ধৃত হইল । কেহ সিপাহীর প্রশ্নে চোট পাট উত্তর দিল ; সে চতুর, কাজেই, "বদমাষ” বলিয়া ধৃত হইল। কেহ কোন উত্তর দিতে পারিল না,— অপরাধীই নিরুত্তর হয়, এই বলিয়া সেও ধৃত হইল। কেহ দুৰ্ব্বল, তাহাকে ধৃত করার কোন কষ্ট নাই, সিপাহীরা অনুগ্রহ করিয়া তাহাকে ধৃত করিলেন ; কেহ বলবান, কাজেই দাঙ্গাবাজ, সেও ধৃত হইল। কেহ দরিদ্র, দরিদ্রেরাই বদমাষ হইয়া থাকে, এজন্য সে ধৃত হইল ; কেহ ধনী, ধনীর টাকা দিয়া লোক নিযুক্ত করিয়া এই দাঙ্গা উপস্থিত করিয়াছে সন্দেহ নাই, তাহারাও ধৃত হইল। এইরূপে অনেক লোকে