মনে করিয়াছিলেন, সে পীড়িত। এখন তাঁহার মনে হইল, সে হয় ত বিনা সাহায্যে উঠতে পারে নাই বা বাহির হইতে পারে নাই। সে বাহির হইয়াছে কি না, দেখিবার জন্য সীতারাম কারাগৃহ মধ্যে পুনঃপ্রবেশ করিলেন। দেখিলেন, সে তেমনি ভাবে সেই কোণে সর্ব্বাঙ্গ আবৃত করিয়া গুইয়া আছে।
সীতারাম ডাকিয়া বলিলেন, “ওগো! সবাই বাহির হইল, তুমি শুইয়া কেন?”
যে শুইয়াছিল, সে বলিল, “কি করিব?”
এ ত স্ত্রীলোকের গলা। চেনা গলা বলিয়াই সীতারামের বোধ হইল। তিনি আগ্রহ সহকারে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কে গা?'
সে বলিল, “আমি শ্রী।”
পু. ২১, পংক্তি ২৩, “সীতারাম...যাইবে?” এই পংক্তিটির পরিবর্ত্তে ছিল—
সীতারাম বলিলেন, “শ্রী—তুমি এখানে কেন?”
শ্রী। সিপাইতে ধরিয়া আনিয়াছে
সীতা। হাঙ্গামায় ছিলে বলিয়া? তা, ইহাদের বোধ সোধ নাই। অত্যাচার বেশী হইতেছে। যাই হউক, এখন ভগবানের রুপায় আমরা মুক্ত হইয়াছি। এখন তুমি এখানে পড়িয়া কেন? আপনার স্থানে যাও।
পৃ. ২২, পংক্তি ১, “সেখানে কে আছে?” এই কথা কয়টির পর ছিল— আমার উপর এখন দৌরাত্ম্য
পৃ. ২২, পংক্তি ৪, “মাঠ” কথাটির স্থলে “কারাগার” ছিল।
পংক্তি ২৪, “আমি তোমার বিবাহিত স্ত্রী,” এই কথা কয়টির পর ছিল— তোমার স্নেহের অধিকারিণী, আমি
পৃ. ২৩, পংক্তি ১-২, “তোমার আর দুই স্ত্রী আছে, কিন্তু” এই কথা কয়টির পরিবর্ত্তে ছিল
নন্দা তোমার দ্বিতীয়া স্ত্রী,
পৃ. ২৩, পংক্তি ১৭, এই “সপ্তম” পরিচ্ছেদটি প্রথম সংস্করণের “একাদশ” পরিচ্ছেদ।
পংক্তি ১৮-১৯, “পলায়নের...হইয়াছে। সীতারাম” এই অংশটি ছিল না।
পৃ. ২৫, পংক্তি ৮, “শ্রী আবার দাঁড়াইয়া উঠিল। বলিল,” এই কথা কয়টির পর ছিল—
“এই আধখানা মোহর তুমি আমাকে পাঠাইয়া দিয়াছিলে—বিপদে পড়িলে নিদর্শন স্বরূপ তোমাকে ইহা দেখাইতে বলিয়া দিয়াছিলে। সে দিন ইহাই তোমাকে দেখাইয়া ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা পাইয়াছি।