‘. . . . . - . आमिवश्वक गिरr-गिरे क्षेत्र ।ि नौजवान जो बक्न निद मिहनाको প্রেম কি, তাহা আমি জানি না। ৰেল আৰু মলি আদি মালি না বই এমন দাবানল ত সংসারে দেখিতে পাই না। প্রেমের কথা পুস্তকে পড়িয়া থাকি বটে, কিন্তু । সংসারে ভালবাসা, স্নেহ ভিন্ন প্রেমের মত কোন সামগ্ৰী দেখিতে পাই নাই, সুতরাংতাহার । বর্ণনা করিতে পারিলাম না। প্রেম, যাহা পুস্তকে বর্ণিত, তাহা আকাশকুসুমের মত কোন ৷ একটা সামগ্ৰী হইতে পারে, যুবক যুবতীগণের মনোরঞ্জন জন্য কবিগণ কর্তৃক সৃষ্ট হইয়াছে বোধ হয়। তবে একটা কথা স্বীকার করিতে হয়। ভালবাসা বা স্নেহ, যাহা সংসারে এত আদরের, তাহ পুরাতনেরই প্রাপ্য, নূতনের প্রতি জন্মে না। যাহার সংসর্গে অনেক কাল কাটাইয়াছি, বিপদে, সম্পদে, মুদিনে, তুর্দিনে যাহার গুণ বুঝিয়াছি, মুখ দুঃখের বন্ধনে যাহার সঙ্গে বদ্ধ হইয়াছি, ভালবাসা বা স্নেহ তাহারই প্রতি জন্মে। কিন্তু নূতন, আর একটা সামগ্রী পাইয়া থাকে। নূতন বলিয়াই তাহার একটা আদর আছে। কিন্তু তাহ ছাড়া আরও আছে। তাহার গুণ জানি না, কিন্তু চিহ্ন দেখিয়া অনুমান করিয়া লইতে পারি। যাহা পরীক্ষিত, তাহা সীমাবদ্ধ ; যাহা অপরীক্ষিত, কেবল অনুমিত, তাহার সীমা দেওয়া না দেওয়া মনের অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই নূতনের গুণ অনেক সময়ে অসীম বলিয়া বোধ হয়। তাই সে নূতনের জন্য বাসনা দুৰ্দ্দমনীয় হইয়া পড়ে। যদি ইহাকে প্রেম বল, তবে সংসারে প্রেম আছে। সে প্রেম বড় উন্মাদকর বটে। নূতনেরই তাহ প্রাপ্য। তাহার টানে পুরাতন অনেক সময়ে ভাসিয়া যায়। শ্ৰী সীতারামের পক্ষে নূতন। শ্রীর প্রতি সেই উন্মাদকর প্রেম সীতারামের চিত্ত অধিকৃত করিল। তাহার স্রোতে, নন্দ রমা ভাসিয়া গেল । হায় নূতন ! তুমিই কি সুন্দর ? না, সেই পুরাতনই সুন্দর। তবে, তুমি নূতন । তুমি অনন্তের অংশ। অনন্তের একটুখানিমাত্র আমরা জানি। সেই একটুখানি আমাদের কাছে পুরাতন ; অনন্তের আর সব আমাদের কাছে নূতন। অনন্তের যাহা অজ্ঞাত, তাহাও অনন্ত। নূতন, তুমি অনন্তেরই অংশ। তাই তুমি এত উন্মাদকর। স্ত্র, আজ সীতারামের কাছে—আনন্তের অংশ। হায়! তোমার আমার কি নূতন মিলিবে না ? তোমার আমার কি ঐ মিলিবে না ? যে দিন সব পুরাতন ছাড়িয়া যাইব, সেই দিন সব নূতন পাইব, অনন্তের সম্মুখে মুখামুখী হইয়া দাড়াইব । নয়ন মুদিলে ঐ মিলিবে। ততদিন এসে, আমরা বুক বাধিয়া, হরিনাম করি। হরিনামে অনন্ত মিলে। (t
পাতা:সীতারাম- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।