পাতা:সীতারাম- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু গুহার এ দশা আজকাল হইয়াছে। আমি যখনকার কথা বলিতেছি, তখন এমন ছিল না—গুহ সম্পূর্ণ ছিল। তাহার ভিতর পরম যোগী মহাত্মা গঙ্গাধর স্বামী বাস যথাকলে সন্ন্যাসিনী স্ত্রীকে সমভিব্যাহারে লইয়া তথা উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন, গঙ্গাধর স্বামী তখন ধ্যানে নিমগ্ন। অতএব কিছু না বলিয়া, তাহারা সে রাত্রি গুহাগ্রাস্তে শয়ন করিয়া যাপন করিলেন। - প্রত্যুষে ধ্যান ভঙ্গ হইলে, গঙ্গাধর স্বামী গাত্ৰোখান পূর্বক, বিরূপায় স্নান করিয়া, প্রাতঃকৃত্য সমাপন করিলেন। পরে তিনি প্রত্যাগত হইলে সন্ন্যাসিনী প্রণত হইয় তাহার পদধূলি গ্রহণ করিল ; ঐও তাহাই করিল। গঙ্গাধর স্বামী স্ত্রর সঙ্গে তখন কোন কথা কহিলেন না, বা তৎসম্বন্ধে সন্ন্যাসিনীকে কিছুই জিজ্ঞাসা করিলেন না ; তিনি কেবল সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন। দুর্ভাগ্য—সকল কথাই সংস্কৃত ভাষায় হইল। শ্ৰী তাহার এক বর্ণ বুঝিল না। যে কয়টা কথা পাঠকের জানিবার প্রয়োজন, তাহ বাঙ্গালায় বলিতেছি। স্বামী। এ স্ত্রী কে ? সন্ন্যাসিনী । পথিক । স্বামী। এখানে কেন ? সন্ন্যা। ভবিষ্যৎ লইয়। গোলে পড়িয়াছে। আপনাকে কর দেখাইবার জন্য আসিয়াছে। উহার প্রতি ধৰ্ম্মানুমত আদেশ করুন। শ্ৰী তখন নিকটে আসিস আবার প্রণাম করিল। স্বামী তাহার মুখপানে চাহিয়৷ দেখিয়া হিন্দীতে বলিলেন, “তোমার কর্কট রাশি।” * শ্ৰী নীরব। “তোমার পুস্থা নক্ষত্রস্থিত চন্দ্রে জন্ম।” শ্ৰী নীরব। “গুহার খাহিরে আইস—হাত দেখিব।”

  • পরকনকশরীরে দেবনম্রপ্রকাশ্বে

ভবতি বিপুলবক্ষা: কর্কটে যস্য রাশি: কোষ্ঠীপ্রদীপে। এইরূপ লক্ষণাদি দেখিয়া জ্যোতির্বিবদের রাশি ও নক্ষত্র নির্ণয় করেন। وین)