दिउँौग्न थ७–गर्छ अब्रिम्झन (૧ কাহারও মনে কিছু মলা নাই। তথাপি একটা গুরুতর দোষের কাজ হইয়া গেল । রম ও গঙ্গারাম উভয়ে তাহা মনে বুঝিল । গঙ্গারাম ভাবিল, “আমার দোষ কি ?” রম বলিল, “এ না করিয়া কি করি—প্রাণ যায় যে ” কেবল মুরলা সন্তুষ্ট । গঙ্গারামের যদি তেমন চক্ষু থাকিত, তবে গঙ্গারাম ইহার ভিতর আর এক জন লুকাইয়া আছে দেখিতে পাইতেন। সে মনুষ্য নহে—দেখিতেন—
- দক্ষিণাপাঙ্গনিবিষ্টমুষ্টিং নত্যংসমাকুঞ্চিতসব্যপাদম্। * * * চক্রীকৃতচারুচাপং প্ৰহৰ্ত্ত মভূছিতমাত্মযোনিম্। এ দিকে বাদীর মনেও যা, বিধির মনেও তা। চন্দ্রচূড় ঠাকুর তোরা খার কাছে, এই বলিয়। গুপ্তচর পাঠাইলেন যে, “আমরা এ রাজ্য মায় কেল্লা সেলেখান। আপনাদিগকে বিক্রয় করিব—কত টাকা দিবেন ? যুদ্ধে কাজ কি—টাকা দিয়া নিন না ?”
চন্দ্রচূড় মৃন্ময়কে ও গঙ্গারামকে এ কথা জানাইলেন। মৃন্ময় ক্রুদ্ধ হইয়া চোখ ঘুরাইয়া বলিল, “কি ! এত বড় কথা ?” চন্দ্রচূড় বলিলেন, “দূর মূখ! কিছু বুদ্ধি নাই কি ? দরদস্তুর করিতে করিতে এখন দুই মাস কাটাইতে পারিব । তত দিনে রাজা আসিয়া পড়িবেন ।” গঙ্গারামের মনে কি হইল, বলিতে পারি না । সে কিছুই বলিল না। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ তা, সে দিন গঙ্গারামের কোন কাজ করা হইল না। রমার মুখখানি বড় সুন্দর ! কি সুন্দর আলোই তার উপর পড়িয়াছিল। সেই কথা ভাবিতেই গঙ্গারামের দিন গেল । বাতির আলো বলিয়াই কি আমন দেখাইল ? তা হ’লে মানুষ রাত্রিদিন বাতির আলে। জালিয়া বসিয়া থাকে না কেন ? কি মিস্মিসে কোকড়া কোকড়া চুলের গোছা! কি ফলান রঙু! কি ভুরু ! কি চোখ ! কি ঠোট—যেমন রাঙা, তেমনই পাতলা ! কি গড়ন । তা কোনটাই বা গঙ্গারাম ভাবিবে ? সবই যেন দেবীদুল্লভ ! গঙ্গারাম ভাবিল, “মানুষ যে এমন সুন্দর হয়, তা জানতেম না! একবার যে দেখিলাম, আমার যেন জন্ম সার্থক হইল। আমি তাই ভাবিয়া যে কয় বৎসর বাচিব, সুখে কাটাইতে পারিব।” তা কি পারা যায় রে মূখ! একবার দেখিয়া, অমন হইলে, আর একবার দেখিতে ইচ্ছা করে। পর বেলা গঙ্গারাম ভাবিতেছিল, “একবার যে দেখিয়াছি, আমি তাই ভাবিয়া br