পাতা:সীতার বনবাস - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬. সীতার বনবাস। সীতার সমক্ষে মধুর স্বরে আবৃত্তি করিয়া, তাহার শােকনিবৃত্তি করিতে লাগিল। একাদশ বর্ষে, মহর্ষি, তাহাদের উপনয়ন- সংস্কার সম্পন্ন করিয়া, বই পড়াইতে আরম্ভ করিলেন। বালকের সংবৎসর কালেই, সমগ্র বেদশাস্ত্রে সম্পূর্ণ অধিকার লাভ করিল। | কুশ ও লবের বয়ঃক্রম পূর্ণ দ্বাদশ বৎসর হইল; কিন্তু তাহারা, কে, এ পর্যন্ত তাহারা তাহার কিছুমাত্র জানিতে পারিল না। তাহারা ঋষিকুমার ও তাহাদের জননী ঋষিপত্নী, তাহাদের এই সংস্কার জন্মিয়াছিল। ফলতঃ, জানকী যে ভাবে পােবনে কালযাপন করিতেন; তাঁহাকে দেখিলে, কেহ ঋষিপত্নী ব্যতীত আর কিছুই বােধ, করিতে পারিত

এবং তাহাদেরও দুই সহােদরের আচার ও অনুষ্ঠান

নয়নগােচর করিলে, ঋষিকুমার ব্যতিরিক্ত অন্যবিধ বােধ জন্মিবার সম্ভাবনা ছিল না। তাহারা জানকীকে. জননী বলিয়া জনিত ; কিন্তু তিনি যে মিথিলাধিপতির তনয়া, অথবা কোশলাধিপতির মহিষী, তাহা জানিতে পারে নাই। বাল্মীকি, যত্নপূর্বক, এই বিষয় তাহাদের বােধবিষয় হইতে সঙ্গোপিত করিয়া রাখিয়াছিলেন। এবং তপােবনবাসীদিগকে এরূপ সাবধান করিয়া দিয়াছিলেন যে, কেহ, ভ্রমক্রমেও, তাহাদের সমগে, এ বিষয়ের প্রসঙ্গ করিত না; আর, সীতাকেও বিশেষ করিয়া বলিয়া দিয়াছিলেন যে, তিনিও