অষ্টম অধ্যায় । । sa লক্ষ্মণ ও রামের একান্ত অনুগত। রাবণ যদি সীতাকে অপহরণ করিয়া আনিতে পারেন, তাহ হইলে একমাত্র কার্ষ্য দ্বারা দুই উদ্দেশু অনায়াসে ংলাধিত হইবে। প্রথমতঃ, সীতার অভাবে রাম নিশ্চয় প্রাণত্যাগ করিবে, এবং ভ্রাতার মৃত্যু হইলে লক্ষ্মণও আর জীবিত থাকিবে না। দ্বিতীয়তঃ, রাবণ সীতার স্থায় এক দুর্লভ রমণীরত্ন লাভ করিবেন। রাবণ যে সমস্ত সুন্দরী দেবকন্ত। অপহরণ করিয়াছেন, তাহার কেহই রূপে সীতার সমকক্ষ নহে। এই উপায় অবলম্বন না করিলে রাবণ সন্মুখযুদ্ধে রামলক্ষ্মণকে বিনাশ করিয়া কখনই সীতাকে লইয়। আসিতে পারিবেন না। রক্তপাত ব্যতিরেকে যে উপায়দ্বারা অনায়াসেই শত্রুর সমুচ্ছেদ হয়, রাবণের তাহাই অবলম্বন করা কৰ্ত্তব্য । 1. * * এই রাবণ অতিশয় দুৰ্ব্বত্ত ছিল। তাহার অমিত পরাক্রম ও বিস্তর ঐশ্বৰ্য্য ; দেবতারাও তাহার ভয়ে শঙ্কিত থাকিতেন। রাক্ষস কেবল পার্থিব ঐশ্বৰ্য্য ও পাশবিক ক্ষমতালাভের জন্তই বহুকাল দুষ্কর তপস্তা করিয়াছিল। সে ঘোর ইন্দ্রিয়পরতন্ত্র অনাচারী ও কদাচারী ছিল। সে যে কত শত মুরূপ কুলললনাকে পিতামাতা ও স্বামীর ক্রোড় হইতে আচ্ছিন্ন করিয়া স্বগৃহে আনয়ন করিয়াছিল তাহার ইয়ত্তা নাই। তাহার জঘন্ত চরিত্রের আলোচনা করিলে মনোমধ্যে কেবল বিজাতীয় ঘৃণারই উদ্রেক হইয় থাকে। এই ছরস্ত রাক্ষস দুৰ্ব্বস্তু ভগিনীর মুখে সীতার অলৌকিক রূপলাবণ্যের কথা শ্রবণ করিয়া তল্লাভবাসনায় চঞ্চল হইল। সে ভগিনীর বাক্যে অতিশয় সস্তুষ্ট হইয় তাহাকে সাস্বনা করিল ; ৷ এবং স্বকীয় উদ্বেগুসাধনার্থ তদণ্ডেই গর্দভবাহিত রথে লঙ্ক হইতে জনস্থানাভিমুখে যাত্রা করিল। সমুদ্র সমুত্তীর্ণ হইয়া রাবণ মায়াবী মারীচের আশ্রমে উপনীত হইল। রাবণ মারীচের নিকট মনোগত দুরভিসন্ধি ব্যক্ত করিয়া তাহাকে নিজ উদেপ্তসাধনে
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।