অষ্টম অধ্যায়। - సిసి আনন্দে লম্ফন ও কুৰ্দ্দন করিতে করিতে এক এক বার সীতার সন্নিহিত হইতেছে, আবার তৎক্ষণাৎ তড়িম্বেগে জননীর নিকটে ছুটিয়া যাইতেছে। সীতাদেবী পুষ্পচয়ন করিতে করিতে তাহীদের আনন্দপূর্ণ ক্রীড়া দর্শন পূর্বক মনে মনে কতই আহ্লাদিত হইতেছেন, এবং কখন কখন মৃদুমধুর সম্বোধনে তাহাদিগকে আপনার নিকটে আহ্বান করিতেছেন । সহসা সীতা দেখিলেন যে, মৃগ সকল কোনও কারণে সন্ত্ৰাসিত হইয়া বেগে চতুর্দিকে পলায়ন করিল ! তিনি কৌতুহলপরবশ হইয়া ইহার কারণানুসন্ধান করিতে গিয়া সবিস্ময়ে দেখিলেন যে, সুন্দর স্বর্ণচৰ্ম্ম একটা অপরূপ মৃগ কোথা হইতে আসিয়া তাহাদের আশ্রমস্থিত মৃগগণের মধ্যে উপস্থিত হইয়াছে! সে কখন কদলীবনের মধ্যে প্রবিষ্ট হইতেছে, কখনও বেগে ইতস্ততঃ ধাবমান হইতেছে, কখনও স্থির হইয়া তৃণপত্র ভক্ষণ করিতেছে, আবার সহসা কোথায় অদৃশু হইয়া তৎক্ষণাৎ সীতার নয়নপথে পতিত হইতেছে। সেই অদ্ভূত মৃগ দর্শন করিয়া সীতা হৃষ্টমনে রামকে আহবান করিলেন “আৰ্য্যপুত্র, তুমি শীঘ্ৰ লক্ষ্মণকে লইয়া একবার এখানে আইস ।” রাম আহূত হইবামাত্র তৎক্ষণাৎ লক্ষ্মণের সহিত তথায় আগমন করিয়া মৃগকে দর্শন করিলেন। তীক্ষদৃষ্টি লক্ষ্মণ যুগকে দেখিয়াই অতিশয় সন্দিহান্ হইলেন, এবং উহাকে কোন মায়াবী রাক্ষস জানিয়া রামকে সতর্ক করিয়া দিলেন ! জানকী সেই মৃগ দেখিয়া বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন ; সুতরাং তিনি লক্ষ্মণের বাক্য শুনিয়া তাহাকে নিবারণ পূৰ্ব্বক রামকে কহিলেন “আৰ্য্যপুত্র, ঐ সুন্দর মৃগ আমার মনোহরণ করিয়াছে, এক্ষণে ভূমি ঐটকে আনয়ন কর, আমরা উহাকে লইয়া ক্রীড়া করিব। আমাদের এই আশ্রমে বহুসংখ্যক মৃগ ভ্রমণ করিয়া থাকে ; তাহার দেখিতে মুনীর বটে, কিন্তু তেজ শাস্তুস্বভাব ও দীপ্তিতে এইটি যেমন, এরূপ আর কাছাকেও দেখি নাই। এই নানাবর্ণচিত্রিত, শশাঙ্কশোভন,
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।