s". সীতা । রত্নময় মৃগ আমার নিকট বনবিভাগ আলোকিত করিয়া স্বয়ং শোভিত श्हेप्उत्श् । श्रोश, खेशद्र कि क्रूण ! कि cभाउ ! कि क9षत्र ! गै অপূৰ্ব্ব মৃগ যেন আমার মনুকে আকর্ষণ করিয়া লুইতেছে। তুমি যদি উহাকে জীবন্ত ধরিয়া জানিতে পার, অত্যন্ত বিস্ময়ের হইবে। আমাদের বনবাসকাল অতিক্রাস্ত হইলে, আমরা পুনৰ্ব্বার রাজ্যলাভ করিব ; তৎকালে এই মৃগ অন্তঃপুরে আমাদিগের এক শোভার দ্রব্য হইয়া থাকিবে এবং ভরত, তুমি, শ্বশ্ৰগণ ও আমি, আমাদের সকলকেই যার পর নাই বিস্মিত করিবে। যদি মৃগ জীবিত থাকিতে তোমার । হস্তগত না হয়, তাহা হইলেও উহার রমণীয় চৰ্ম্ম আমাদের ব্যবহারে আসিতে পায়। আমি তৃণময় আসনে ঐ স্বর্ণের চৰ্ম্ম আস্তীর্ণ করিয়া উপবিষ্ট হইব। স্বার্থের অভিসন্ধি করিয়া স্বামীকে নিয়োগ করা স্ত্রীলোকের নিতান্ত অসদৃশ, কিন্তু বলিতে কি, ঐ জন্তুর দেহ দেখিয়৷ আমি অত্যন্তই বিক্ষিত হইয়াছি।” (৩,৪৩) স্বার্থের অভিসন্ধি করিয়া স্বামীকে নিয়োগ করা স্ত্রীলোকের নিতান্ত অসদৃশ বটে, কিন্তু মুগ্ধস্বভাব সীতা স্ত্রীর কৰ্ত্তব্যটি বুঝিয়াও বুঝিতে পারিলেন না। কত নারী যে কেবল আত্মমুখসাধনের নিমিত্তই স্বামীকে কত দুরূহ কাৰ্য্যে নিয়োগ করিয়া সীতার দ্যায় অবস্থাপন্ন হইয়া থাকেন, তাহার সংখ্যা কে করিবে ! আমরা অবশ্য একথা বলিতেছি না যে, স্ত্রী কখনও স্বামীর কাছে কোনও ঈপ্সিত দ্রব্য প্রার্থনা করিবেন না ; আমাদের কেবল ইহাই বক্তব্য যে, স্বামীর গক্ষে যাহা দুরূহ, অথবা যাহা করিতে তিনি অক্ষম; এরূপ কার্য্যে তাহাকে নিয়োগ করা পতিপরায়ণার নিতান্তই অকৰ্ত্তব্য। সীত রামের নিকট যাহ প্রার্থনা করিলেন, অবশ্য তাহ রামের পক্ষে অসম্ভব নহে ; সীতা তাহার সামর্থ্য জানিতেন, তাই তিনি সেই মৃগের অসামান্তরূপে বিমুগ্ধ হইয়া স্বামীর নিকট মৃগ অথবা তাহার মুম্বর
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।