পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So 8 সীতা । রাম ও সীতার পরিচর্য্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত একপ্রকার আহার নিজ পরিত্যাগ করিয়াছেন, যিনি স্বয়ং সাধুতার প্রতিমূৰ্ত্তি, আত্মত্যাগের আধার ও অলৌকিক অমুরাগের দৃষ্টাস্ত স্থল, যিনি এপৰ্য্যস্ত একটা দিনও সাঁতার বদনমণ্ডলের দিকে দৃষ্টিপাত করেন নাই, যিনি সীতাকে সুমিত্রা অপেক্ষাও অধিকতর ভক্তি করিয়া থাকেন এবং স্বয়ং সীতাও শতমুখে র্যাহার কতবার প্রশংসা করিয়াছেন, সেই দেবর লক্ষ্মণের প্রতি আজ সীতার এই দুৰ্ব্বাক্যপ্রয়োগ । আমরা প্রথমে বাল্মীকির রামায়ণে সীতার কণ্ঠ হইতে এই পুতিগন্ধময় ঘৃণিত বাক্যগুলি উচ্চারিত হইতে দেখিয়া বিস্ময়ে স্তম্ভিত ও লজ্জায় ম্ৰিয়মাণ হইয়াছিলাম। সাধুনীল লক্ষ্মণের সম্বন্ধে সীতার ঈদৃশী ধারণা দেখিয়৷ আমরা কোন মতেই তাহাকে দোষমুক্ত করিতে সমর্থ হই নাই। বলিতে কি আমরা তাহার মুখ হইতে এতাদৃশ বাক্য শ্রবণের কোন প্রত্যাশাই করি নাই। সীতার স্বভাবও পূৰ্ব্বাপর আলোচনা করিয়া আমরা তাহার এই অভূতপূৰ্ব্ব ব্যবহারকে নিতান্ত অসঙ্গত বোধ করিয়াছিলাম। তবে সীতার এবম্বিধ মনোবিকার সংঘটিত হইল কেন ? সীতা এত আত্মবিস্তৃত হইলেন কেন ? আমাদের সেই স্নেহময়ী প্রিয়বাদিনী রমণীশিরোমণি সীতাদেবী আজ প্রাকৃতার দ্যায় পরিলক্ষিত হইলেন কেন ? ইহার সদুত্তর পাইতে হইলে আমাদিগকে বীরভাবে সীতার তাৎকালিক মানসিক অবস্থাটি পৰ্য্যালোচনা করিতে হইবে। লক্ষ্মণ বীর পুরুষ, তিনি বীর ভ্রাতার সাহস ও তেজস্বিত বিলক্ষণ অবগত ছিলেন ; তিনি আরও জানিতেন যে, রাক্ষসগণের সহিত বিবাদ হওয়া অবধি, তাহার। নানাপ্রকারে তাহাদের অমঙ্গল সাধনের চেষ্টা করিতেছে। যে অপূৰ্ব্ব মৃগ দেখিয়া সীতাদেবী বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন, তাছাকে দেখিয়াই লক্ষ্মণের মনে ঘোরতর সন্দেহ উপস্থিত হইয়াছিল এবং সেই দিনের মৃগয়া হইতে যে উল্লিখিত জার্ক