সীতা । - ونه لا সে যাহা হউক, উল্লিখিত অদ্ভূত বাক্যগুলিযেমন একদিকে সীতার মানসিক দুরবস্থার পরিচয় প্রদান করিতেছে, তেমনই অপরদিকে আবার পতির জন্য র্তাহার আশ্চৰ্য্য ব্যাকুলতাও পরিব্যক্ত করিতেছে। কিন্তু জানকী কুক্ষণেই এই বিষময় বাক্যগুলি উদগীর্ণ করিয়াছিলেন। তিনি জীবনে ইহার পূৰ্ব্বে বা পরে আর কখনও কাহারও প্রতি এমন কুবাক্য উচ্চারণ করেন নাই। পরস্তু এতদ্বারাই তাহার ভাগ্যে যে দারুণ কষ্টভোগের স্বত্রপাত হইল, তাহা হইতে তিনি ইতজীবনে আর নির্মুক্ত হইতে পারিলেন না। আমরা কত সময়েই যে জিহবাকে . অসংযত রাখিয়া জানকীর স্তায় মনস্তাপ পাইয়া থাকি, তাহার ইয়ত্তা কে করিবে ? - সে যাহা হউক, সুশীল লক্ষ্মণ জানকীর এই রোমহর্ষণ বাক্য শ্রবণ করিয়া ক্রোধে ও অভিমানে অতিশয় সন্তপ্ত হইলেন, এবং সহসা দৃপ্ত সিংহের দ্যায় গর্জন করিয়া উঠিলেন । কিন্তু তিনি অতিকষ্টে আত্মসংযম করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কছিলেন “আর্য্যে, তুমি আমার পরম দেবতা, তোমার বাক্যে প্রত্যুত্তর করি, আমার এরূপ ক্ষমতা নাই। আমুচিত কথা প্রয়োগ করা স্ত্রীলোকের পক্ষে নিতান্ত বিস্ময়ের নহে ; উহাদের স্বভাব যে এইরূপ, ইহা প্রায় সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হইয়া থাকে। যাহ। হউক, তোমার এই কঠোর কথা কিছুতেই আমার সহ হইতেছে না। উহ! কর্ণমধ্যে, তপ্ত নারাচান্ত্রের স্থায়, একান্ত ক্লেশকর হইতেছে। বনদেবতার সাক্ষী, আমি তোমায় স্থায্যই কহিতেছিলাম ; কিন্তু তুমি আমার প্রতি যারপরনাই কটুক্তি করিলে। দেবি, যখন তুমি আমাকে এইরূপ আশঙ্কা করিতেছ, তোমায় ধিক্ ; মৃত্যু একান্তই তোমার সন্নিহিত হইয়াছে। আমি জ্যেষ্ঠের নিয়োগ পালন করিতেছিলাম, তুমি স্ত্রীসুলভ দুষ্টস্বভাবের বশবৰ্ত্তিনী হইয়াই আমার ঐরূপ কহিলে। তোমার মঙ্গল হউক ; যথায় রাম, আমি সেই স্থানে চলিলাম। ষেরূপ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।