SS o जैौद्धा ! সহিত উপস্থিত হইয়া, তোর উপযুক্ত দণ্ডবিধান করিবেন। রে পামর, তুই নীচ জঘন্তচরিত্র ও পাপাচারী। তুই আমাকে অসহায় দেখিয় অপহরণ করিলে আমি প্রাণত্যাগ করিব, কোন মতেই তোর বশতাপন্ন হইব না। আমাকে স্পর্শ করিলে, তুই সবংশে ধ্বংস হুইবি । কাপুরুষ, তুই আমাকে একাকিনী দেখিয়া কুবাক্য কহিতেছিল, কিন্তু দেখিতেছি রামের হস্তে তোর আর রক্ষা নাই ।” (৩৪৭ ) অগ্নিমূৰ্ত্তি সীতা দুরাত্মা রাবণের প্রতি এইরূপ কঠোর বাক্যবাণ বর্ষণ করিয়া ভীমরূপ ধারণ করিলেন। সে ভীষণ রূপ দর্শনে পামর রাবণেরও স্বৎকম্প হইল। দুৰ্ব্বত্ত সীতার প্রতিকূলভাব অবলোকন - করিয়া তাহাকে বলপূৰ্ব্বক অপহরণ করিবার ইচ্ছা করিল, এবং তদণ্ডেই নিরীহ ভিক্ষুকবেশ পরিত্যাগ করিয়া ভয়ঙ্কর রাক্ষসরূপ পরিগ্রহ করিল। সীতা রাবণকে দেখিয়া বাত্যাতাড়িত কদলীর ন্যায় বিকম্পিত হইতে লাগিলেন এবং চক্ষে চতুর্দিকে অন্ধকার দেখিলেন। রাবণ ক্রোধকষায়িতলোচনে সীতার প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া বলপূৰ্ব্বক বামহস্তে তাঙ্গার কেশ ও দক্ষিণহস্তে র্তাহার পদযুগল ধারণ করিল ; সহসা এক খরবাহিত রথ কুটরের সন্নিহিত হইল! সীতাদেবী রাবণকর্তৃক এইরূপে আক্রাস্ত হইবামাত্র তাছার পাপ চস্তবন্ধন হইতে মুক্তিলাভের জন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করিতে লাগিলেন ; কিন্তু দুৰ্ব্বত্ত ঘোরতর তর্জন গর্জন দ্বারা তাহাকে ভয় প্রদর্শন করিয়া রথে আরোহণ করিল। মন্দভাগিনী সীতা এই অসম্ভাবিত বিপদে অতিমাত্র কাতর হইয়া দূর অরণ্যগত রামকে উচ্চৈঃস্বরে আহবান করিতে লাগিলেন, এবং চীৎকার ও বিলাপধ্বনিতে গগনমণ্ডল পরিপূর্ণ করিলেন। বৃক্ষলত নিম্পন্ন হইল, মৃগসকল চতুর্দিকে পলায়ন করিল ; সৰ্ব্বস্থল যেন প্রগাঢ় অন্ধকারে আচ্ছন্ন, বায়ু যেন নিশ্চল এবং স্বৰ্য্যৰ যেন প্রভাশূন্ত হইল! চতুর্দিকু হইতে এক হাহাকারধ্বনি
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।