नंदम श्रधाश्च । মারীচ রামের স্বর অনুকরণ পূৰ্ব্বক আর্তের ন্তায় সীতা ও লক্ষ্মণের নাম উচ্চারণ করিয়া গতাস্থ হইলে, রামের বীরহাদয় সহসা বিকম্পিত হইল । নানাপ্রকার ভয় ও দুর্ভাবনা আসিয়া তাহার চিত্তকে অতিশয় চঞ্চল করিল । রামের ষেন কোন গুরুতর বিপদ আসন্ন হইয়াছে ! রাক্ষসের এই ভয়ঙ্কর আর্তনাদ শ্রবণ পূৰ্ব্বক লক্ষ্মণ ত সীতাকে কুটারে একাকিনী রাখিয়া আসিবেন না ? সুবুদ্ধি লক্ষ্মণ ও কি রামের দ্যায় রাক্ষসের মায়ায় বিমুগ্ধ হইবেন ? দুরাত্মা রাক্ষসেরা রাম লক্ষ্মণ ও সীতার সর্বনাশসাধনের নিমিত্তই যে এই মায়াজাল বিস্তার করিয়াছে, তদ্বিষয়ে রামের আর কোন সন্দেহই রহিল না । তিনি সীতার নিমিত্ত অতিশয় ব্যাকুল হইলেন, এবং মনোমধ্যে নানাপ্রকার আশঙ্ক। করিতে করিতে দ্রুতপদে কুটারাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। তাহার সর্বাঙ্গ কম্পিত, ও চরণযুগল ত্বরানিবন্ধন স্থলিত হইতে লাগিল। পথিমধ্যে ঘোর দুর্নিমিত্তসকল প্রাদুভূত হইতে দেখিয়া তিনি আরও চঞ্চল হইলেন ; পৃথিবী তাহার চক্ষে যেন ঘূর্ণায়মান হইতে লাগিল এবং চতুর্দিক যেন তমোজালে আচ্ছন্ন হইয় গেল! হায়, রামের আনন্দদায়িনী পত্যমুরাগিণী জনকনন্দিনীর কি কোন বিপদ উপস্থিত হইয়াছে ? লক্ষ্মণ কি তাহাকে একাকিনী রাখিয়৷ কুটীর হইতে নিস্ক্রান্ত হইয়াছেন ? রামচন্দ্র এইরূপ আশঙ্কা করিতে করিতে ব্যগ্রতাসহকারে গমন করিতেছেন, এমন সময়ে সহসা লক্ষ্মণকে সম্মুখে দেখিয়া স্তম্ভিত হইয়া গেলেন । তাহার মস্তক বিঘর্ণিত, তালু বিশুষ্ক ও কণ্ঠ রুদ্ধপ্রায় হইল। তিনি কোনও প্রকারে जीडात्र
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।