নবম অধ্যায় । ১১৭ কুশলপ্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু লক্ষ্মণ র্তাহাকে কুটীরে একাকিনী রাখিয়া আসিয়াছেন ইহ। শ্রবণমাত্র শোকে ও চিন্তায় অবসর হইয় পড়িলেন। রাম দুঃখাবেগে লক্ষ্মণকে কছিলেন বেংস, আমি যখন তোমাকে বিশ্বাস করিয়া বনমধ্যে জানকীকে রাখিয়া আসিলাম, তখন তুমি কি জন্ত তাছাকে পরিত্যাগ করিয়া এখানে আগমন করিলে ? না জানি, এক্ষণে কি দুর্ঘটন ঘটিয়া থাকিবে । হয়ত সীতা অপহৃত হইয়াছেন কিম্ব অরণ্যচারী রাক্ষসেরা তাহাকে ভক্ষণ করিয়াছে । লক্ষ্মণ যদি সেই মুশীল জানকী জীবিত থাকেন, তবে আমি পুনরায় আশ্রমে যাইব ; আর যদি তাহার মৃত্যু হইয়া থাকে, তবে আমিও প্রাণত্যাগ করিব । তিনি আমাকে উপস্থিত দেখিয়া, হাস্তমুখে বাক্যালাপ না করিলে আমি কি প্রকারে জীবনধারণ করিতে সমর্থ হইব ?” লক্ষ্মণ রামকে একান্ত শোকাকুল দেখিয়া কছিলেন “আর্য্য, আমি আপন ইচ্ছায় সীতাকে পরিত্যাগ করিয়া এখানে আসি নাই।” এই বলিয়। তিনি অগ্রজকে আদ্যোপান্ত সমস্ত . বিবরণ জ্ঞাপন করিলেন। সীতার ক্রোধবাক্যে লক্ষ্মণ আশ্রম হইতে নির্গত হইয়া রামের নিকট আগমন করিয়াছেন, ইহা শ্রবণ করিয়া রাম বিস্তর পরিতাপ করিতে করিতে বলিলেন “ভাই, সীতার নিয়োগে আমার আদেশ লঙ্ঘন করা তোমার সম্পূর্ণই নীতিবিরুদ্ধ হইয়াছে।” এইরূপ কথোপকথন করিতে করিতে ভ্রাতৃঘুগল উৎকণ্ঠিতমনে কুটারসন্নিধানে উপনীত হইলেন। দূর হইতে আশ্রমকে শ্ৰীহীন দেখিয়া রামের আশঙ্ক পরিবর্দ্ধিত হইল । তিনি ত্বরিতপদে চিন্তাকুলচিত্তে কুটীরাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন, তন্মধ্যে জানকী নাই। জানকী নাই ! তবে কি রামের যাহা আশঙ্কা, তাহাই সত্য হইল ? রাম বিশ্ব অন্ধকারময় দেখিলেন, এবং সহসা অবসর হইয়া পড়িলেন । জানকী তবে কোথায় গিয়াছেন ? রাম
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।