নবম অধ্যায় । סיאל স্বৰ্গারোহণ করিলে, রামলক্ষ্মণ সেই স্থান হইতে মনোরম পম্পাতটে উপনীত হইলেন, এবং তাছার বিচিত্র শোভা দেখিয় পুলকিত হইতে লাগিলেন । পম্পার স্ফটিক বৎ স্বচ্ছসলিলে কমলদল বিকশিত রহিয়াছে ; কোথাও কর্দম নাই, সৰ্ব্বত্রই কোমল বালুকাকণ, জলমধ্যে মৎস্যকচ্ছপের নিবিড়ভাবে সঞ্চরণ করিতেছে। উহার কোনস্থান । কালারে তাম্রবর্ণ, কোন স্থান কুমুদে শ্বেতবর্ণ, এবং কোন স্থান কুবলয় সমূহে নীলবর্ণ। উহার তীরভূমি তিলক অশোক বকুল প্রভৃতি বৃক্ষরাজিতে পরিশোভিত ; কোথাও কুমুমিত আম্রবন, কোথাও সুরম্য উপবন, কোথাও লতাসকল সহচরী সখীর ন্যায় বৃক্ষকে আলিঙ্গন করিয়া রহিয়াছে, এবং কোন স্থান বা ময়ুররবে নিরস্তর প্রতিধ্বনিত হইতেছে। রাম পম্পাদর্শন করিয়া সীতাবিরহে বিলাপ করিতে লাগিলেন। পূৰ্ব্বস্বতি জাগ্রত হইয়া তাহার মনকে অতিশয় সন্তপ্ত করিতে লাগিল, এবং তিনি প্রিয়তম জানকীর বর্তমান অবস্থা স্মরণ করিয়া বালকের ন্যায় রোদন করিতে লাগিলেন। স্থিরবুদ্ধি লক্ষ্মণ শোকবিহবল রামকে বিপদে ধৈর্য্যধারণ করিতে, এবং যাহাতে পাপিষ্ঠ রাবণের দণ্ডবিধান করিয়া তাহারা দেবী জানকীকে উদ্ধার করিতে পারেন তাহারই উপায় চিন্তা করিতে বলিলেন। রাম লক্ষ্মণের বাক্যে সংযতচিত্ত হইয়া ঋষ্যমূকপৰ্ব্বতাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন। - পম্পার অনতিদূরেই ঋষ্যমূক পৰ্ব্বত অবস্থিত ছিল। কপিরাজ সুগ্ৰীব পৰ্ব্বতের সন্নিধানে সঞ্চরণ করিতেছিলেন, এমন সময়ে তিনি অস্ত্রধারী রামলক্ষণকে সহসা সেই দিকে আসিতে দেখিয়া অতিশয় শঙ্কিত হইলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ স্বস্থানে আগমন করিয়া মন্ত্ৰিগণের নিকট আপনার ভয়কারণ বিবৃত করিলেন। অনস্তর সকলের পর মর্শে হনুমান নামে এক বুদ্ধিমান বানর এই বীরযুগলের গতিবিধি ও
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।