নবম অধ্যায়। »ቁፃ সুগ্ৰীবও বিপদাপন্ন হুইয়াছেন, বালী উাছার রাজ্য ও স্ত্রী গ্রহণ করিয়াছেন এবং তাহার মিত্রবর্গকে কারাবদ্ধ করিয়াছেন। সুগ্ৰীবের দুঃখ ও শোকের অবধি নাই, কিন্তু তথাপি তিনি কখনও শোকে বিহবল হন নাই, বরং ধৈর্য্যাবলম্বন করির অন্যায় প্রতীকারের চেষ্টা করিতেছেন। রামচন্দ্র সুগ্ৰীবের বাক্যে শোক পরিহার পূর্বক কৰ্ত্তব্য চিন্তা করিতে লাগিলেন এবং কিয়ৎক্ষণপরে বলিলেন “সুগ্ৰীব তোমার অজুনয়ে এই আমি প্রকৃতিস্ত হইলাম। এইরূপ বিপদকালে ঈদৃশ বন্ধুলাভ নিতান্তই দুর্ঘট। এক্ষণে জানকীর অন্বেষণ ও সেই দ্বরাচার রাক্ষসের বধসাধন, এই দুইটি বিষয়ে তোমায় সবিশেষ যত্ন করিতে হইবে। অতঃপর আমিই বা তোমার কি করিব, তুমি অকপটে তাহাও বল।” ( ৪!৭ ) রাম যাহার সহায় তাহার আর অভাব কি ? রামের সাহায্যে সুগ্ৰীব স্বরাজ্য কেন, দেবরাজ্যও আয়ত্ত করিতে পারিবেন। সুগ্ৰীব এই বলিয়া বালীর সহিত আপনার বৈরিতার ' কারণ ও তদবধি যাহা যাহা ঘটিয়াছে সমস্তই রামকে বলিতে লাগিলেন। তিনি অগ্রজের বিক্রম ও পৌরুষ কীৰ্ত্তন করিলেন, বলিলেন বালীর ন্যায় বীর জগতে কোথাও বিদ্যমান নাই। সুগ্ৰীব তৎকর্তৃক । পরাস্ত ও পুত্ৰকলত্রবিরহিত হইয়া ঋষ্যমূক পৰ্ব্বতে আশ্রয় গ্রহণ পূৰ্ব্বক । দুঃখে ও মনঃকষ্টে কালযাপন করিতেছেন। রামচন্দ্র সুগ্ৰীবের সহিত মিত্রতাপাশে বদ্ধ হইয়াছেন, তিনি বন্ধুকে বিপজ্জাল ও বালীক্রাস হইতে সৰ্ব্বাগ্রে মুক্ত না করিলে, মুগ্ৰীব কিরূপেই বা রামের উপকার করিতে সমর্থ হইবেন? রাম মুগ্ৰীবের বাক্য শ্রবণ করিয়া বালীবধে প্রতিজ্ঞা করিলেন এবং সপ্ততাল ভেদ করিয়া স্বীয় বাহুবলে বন্ধুর প্রত্যয় সমুৎপাদন করিলেন। তদর্শনে অগ্রীব ও অন্যান্ত বামরগণ বিক্ষিত হইয়া রামের বলবীর্য্যের বিস্তর প্রশংসা করিতে লাগিলেন। বালীকে সংহার
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।