নবম অধ্যায় । $రిరి বালীর পার্শ্বে ধূলিতে অবলুষ্ঠিত হইয়। করুণকণ্ঠে বিলাপ করিতে লাগিলেন। সেই বিলাপ শ্রবণে ভ্ৰাতৃহন্ত সুগ্ৰীবেরও নিৰ্ম্মম হৃদয় বিচলিত হইল। যুবরাজ অঙ্গদ অনাথের ন্যায় রোদন করিতে করিতে অশ্রজলে ধরাতল অভিষিক্ত করিলেন। রামলক্ষ্মণ ও সেইস্থলে নিৰ্ব্বিকারচিত্তে অবস্থান করিতে সক্ষম হইলেন না। এদিকে কণ্ঠাগতপ্রাণ বালী সুগ্ৰীবকে নিকটে আহবান করিয়া সস্নেহে কহিতে লাগিলেন “স্নগ্রীব, আমি পাপবশাৎ অবশুম্ভাবী বুদ্ধিমোহে বলপূৰ্ব্বক আকৃষ্ট হইতেছিলাম, সুতরাং তুমি আমার অপরাধ লইও না। আমাদের ভ্রাতৃসৌহার্দ্য ও রাজ্যমুখ ভাগ্যে বুঝি যুগপৎ নির্দিষ্ট হয় নাই, নচেৎ ইহার কেন এইরূপ বৈপরীত্য ঘটিবে ? যাহাহউক, তুমি আজ এই বনবাসীদিগের শাসনভার গ্রহণ কর, আমি এখনই প্রাণত্যাগ করিব।” (৪।২২) এই বলিয়। তিনি সজলনয়নে প্রাণাধিক অঙ্গদ ও মন্দভাগিনী তারাকে সুগ্ৰীবের হস্তে সমর্পণ করিলেন, এবং অঙ্গদকে কিঞ্চিৎ উপদেশ প্রদানান্তর রামের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া অনন্তনিদ্রায় নিমগ্ন হইলেন । বালীর মৃত্যুতে কিষ্কিন্ধানগরী শোকাচ্ছন্ন হইল। বালীর দেহ শিবিক দ্বারা বাহিত হইয়। চন্দনকাষ্ঠরচিত চিতামধ্যে সংস্থাপিত হইল, এইরূপে র্তাহার ঔদ্ধদেহিক কাৰ্য্য সমাপ্ত হইলে, স্বগ্রীব কিষ্কিন্ধার সিংহাসনে অধিরোহণ করিলেন। রাম পিত্রাজ্ঞাপালনামুরোধে নগরীর মধ্যে প্রবেশ' করিলেন না। কুমার অঙ্গদ রামের আদেশে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইলেন। তখন বর্ষাকাল সমুপস্থিত হইয়াছিল, সেই সময়ে যুদ্ধযাত্রা করা নিষিদ্ধ ; এই নিমিত্ত রামচন্দ্র সুগ্ৰীবকে নিজ রাজপ্রাসাদেই বর্ষাযাপন করিতে অনুমতি প্রদান । করিলেন, আর স্বয়ং সেই সুদীর্ঘ প্রাবৃঢ়কাল গুহাকনারশোভী মনোহয় পৰ্ব্বতপৃষ্ঠেই অতিবাচিত করিতে মনস্থ করিলেন। কিন্তু তিনি
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।