নবম অধ্যায় । రిg বর্ষাকাল বাপন করিলেন। সীতার বিরহে তিনি অনবরত অশ্রধারা মোচন করিতে লাগিলেন । মেঘগর্জন শ্রবণে তিনি ম্ৰিয়মাণ হইতেন ; বৃষ্টির ঝুঝরশব্দে তাহার মনে সীতাসংক্রান্ত কত পুরাতন স্থতিই জাগ্রত হইত। ময়ূরের কেকারবে তিনি বিমনায়মান হইতেন ; . নীরব নিশীথে ভেকের গম্ভীর কোলাহলে তাহার মন উদাস হইয়া পড়িত। কখন কখন সীতার দুরবস্থা চিন্তা করিয়া তাহার হৃদয় ব্যাকুল হইত ; কখন তিনি বালকের ন্যায় রোদন করিতেন ; কখন কখন অনন্তমনে সীতাকেই ধ্যান করিতেন, এবং কখনও বা সীতালাভবাসনায় অধীর হইয়া সমুংমুকচিত্তে বর্ষাশেষ প্রতীক্ষা করিতেন। সুধীর লক্ষ্মণ এই দুঃসময়ে নানাবিধউপায়ে অগ্রজকে মুস্থিরচিত্ত aাখিতে প্রয়াস পাইয়াছিলেন। ক্রমে বর্ষ তিরোহিত এবং শরৎ সমাগত হইল। ধরিত্রী হাস্যময়া, আকাশ স্বপ্রসন্ন ও বৃক্ষলতা ফলপুষ্পে সুশোভিত হইল। সৰ্ব্বস্থল পরিস্কৃত, পথ কর্দমশূন্ত, জল মুনিৰ্ম্মল এবং জলাশয় সকল কুমুদকলোরে প্রফুল্ল হইল। বৃক্ষলতা, পুষ্পফল, বন উপবন, গিরি নদী, পশু পক্ষী, কীটপতঙ্গ এবং নরনারী সকলেরই মধ্য হইতে যেন এক দিব্য আনন্দ পরিস্ফুট হইতে লাগিল। রাম এই আনন্দ হৃদয়ে অনুভব করিলেন, কিন্তু সীতার বিরহে তাহা এক ঘোর বিষাদে পরিণত হইয়া গেল ! সৈন্তসংগ্রহের সময় অতীত প্রায় হইল ; সুগ্ৰীব কিষ্কিন্ধানগরীতে রুমা তার প্রভৃতি রমণীগণে পরিবৃত হইয়৷ আমোদ প্রমোদে নিমগ্ন আছেন ; যাহার কৃপায় রাজ্যন্ত্রী লাভ করিলেন, সেই ছঃস্থ বন্ধুর দশ একটিবারও চিন্তা করিলেন না। সুতরাং রাম তাহার এই অদ্ভুত আচরণে একান্ত ক্রোধাবিষ্ট ও শোকসস্তপ্ত হইয়া লক্ষ্মণকে তাহার নিকট প্রেরণ করিলেন । - লক্ষণ ক্রোধে প্ৰজলিতহতাশনের স্তায় মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।