>88 সীতা । ভাব ধারণ করিতে লাগিল। রাবণ সীতার ঈদৃশ ভাব দেখিয়া ক্ষুধাৰ্ত্ত সিংহের ন্তায় অতিশয় ক্ষুভিত হইল। সে সীতাকে দেখিয়া অতিশয় বিমুগ্ধ হইয়াছিল ; সীতার সহিত অনন্তকাল যাপন করিলেও তাহার বাসন যেন অতৃপ্ত থাকিবে । রাবণ কতশত রমণীকে বলপূৰ্ব্বক আনয়ন করিয়াছে, কিন্তু কেহই সীতার ন্যায় প্রতিকুল ছিল না। সীতার অনন্যসাধারণ ঈদৃশ মনোভাব দেখিয়া দুষ্টবুদ্ধি রাক্ষস বুঝিতে পারিল যে, রাঘববনিত সামান্ত নারী নহেন, পরস্তু তিনি সিংহীর স্তায় তেজোগৰ্ব্বিতা ও একান্ত পতিপরায়ণ ; সুতরাং তাছাকে অনায়াসে বশতাপন্ন করা কাহারই সাধ্যায়ত্ত নছে। তবে রাবণের আশা এই যে, ছলে কৌশলে কালক্রমে তাহাকে বণ্যকরিণীর স্তার বশবৰ্ত্তিনী করিলেও করা যাইতে পারে। রাবণ কামমুগ্ধ হইয়াছিল ; ইচ্ছা করিলে কি দুৰ্ব্বত্ত রাক্ষস অবলী সীতার উপর বলপ্রয়োগ করিতে পারিত না ? প্রবল দুৰ্ব্বলকে নিপীড়িত করিতে পারে ইহ সত্য বটে, কিন্তু পাশরবল ষে ধৰ্ম্মবলের নিকট একেবারে সামর্থ্যশূন্ত হইয়া যায়, ইহার উদাহরণ জগতে বিরল নহে। প্রবলপরাক্রান্ত তুৰ্দ্ধান্ত নরপতি অসহায় ধৰ্ম্মবীরের একটী কেশও স্পর্শ করিতে সমর্থ হয় না ; ঘাতকের শানিত কৃপাণ তাহার কম্পমান ক্ষীণমুষ্টি হইতে খলিত হইয়া ভূতলে পড়িয়া যায়, এবং কৃতান্তসদৃশ প্রবল উৎপীড়কের একটা ক্ষীণপ্রাণ দুৰ্ব্বল মনুষোর চতুর্দিকে মন্ত্ৰমুগ্ধবৎ দণ্ডায়মান থাকে! জগতে এদৃপ্ত অতি বিচিত্র । সত্য বটে, তুর্কল মনুষ্য কখন কখন প্রবলের অত্যাচারে অভিভূত হয়, রক্তমাংসময় লক্ষণভঙ্গুর দেহ শত্রুর উৎপীড়নে কখন কখন কাতর হইয় পড়ে, কিন্তু পুণ্যতেজকে সহসী পরাভূক্ত করিতে পারে, জগতে দর্শী কোন শক্তিই বিদ্যমান নাই। তেজী পুরুষ আপনার বিশ্বাস ও ধৰ্ম্মরক্ষার নিমিত্ত এই অনিত্য
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।