দশম অধ্যায় । ›¢ ፃ কৰ্ণপাত করিলেন না, এবং তাছাদের ভয়প্রদর্শনেও কিছুমাত্র শঙ্কিত হইলেন না। জানকী তাছার জীবন রক্ষার নিমিত্ত আর যত্নবর্তী মহেন ; রাক্ষসীরা তাহাকে বধ বা ভক্ষণ করুক, সীতা কিছুতেই তাহীদের বাক্যে কর্ণপাত করিবেন না । - সীতা আর কাহারও ভয়ে ভীত নহেন। তিনি রাক্ষসীগণের সম্মুখেই লঙ্কার প্রতি অভিশাপ প্রদান ও রাবণের প্রতি যথেষ্ট তিরস্কারবাক্য প্রয়োগ করিতে লাগিলেন। রাক্ষসীর ক্রোধাবিষ্ট হইয়। কেহ কেহ রাবণের নিকট গমন করিল, কেহ কেহ বা সীতার রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত রছিল। সীতা শোকে বিহ্বল হইয়া শিংশপা বৃক্ষের এক সুদীর্ঘ পুষ্পিত শাখা অবলম্বন পূর্বক অশ্রুপূর্ণলোচনে আপনার শোচনীয় দশা চিন্তা করিতে লাগিলেন। আর দুই মাসকাল মাত্র অবশিষ্ট আছে ; রাবণ দুই মাস কাল পরেই সীতার বিনাশ সাধন করিবে। দুরাত্মা সীতাকে নানা প্রকারে ভয় প্রদর্শন করিতেছে। সীতার জীবন বড় দুঃখময় হইয়াছে। রাম নিশ্চয়ই সাঁতার অবস্থা পরিজ্ঞাত নহেন, অথবা তিনি সীতাকে চিরকালের জন্ত মনোরাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিয়াছেন ; সুতরাং সীতার উদ্ধারের আর কোন আশা নাই। সীতা রামের বনিতা ; সীতা রাক্ষসহস্তে অবমানিত ও উৎপীড়িত হইতেছেন। রামের দর্শনলাভের আশাতেই সীতা এতাবৎকাল জীবন ধারণ করিতেছিলেন; কিন্তু সে আশা এখন সুদূরপরাश्छ। नौज्राद्ध भृङ्गा कि जब्रिर्की श्हेब्राप्झ्; उत्त श्रृङ्गा३ श्डेक । अश्रृङ्ख्या সতীত্বরত্ব বিনষ্ট হওয়া অপেক্ষ মৃত্যুই শতগুণে শ্রেষ্ঠতর। রাক্ষসহস্তে প্রাণত্যাগ করা অপেক্ষ আত্মহত্যাই সীতার পক্ষে মঙ্গলজনক । আত্মহত্য মহাপাপ বটে ; কিন্তু যেখানে সতীত্বরত্ব হারাইবার আশঙ্কা, সেখানে আত্মহত্যাই মুক্তির একমাত্র উপায়। সীতা তবে নিশ্চয়ই প্রাণত্যাগ করিবেন। সীতা জীবনে যে এত কষ্টভোগ করিলেন, তজ্জন্ত
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।