পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>&br সীতা । তিনি দুঃখিত নহেন, তাহার দুঃখ এই যে, মৃত্যুকালে তিনি একবার স্বামীর চরণযুগল দর্শন করিতে পাইলেন না। যাহার জন্য তিনি এত অপমান ও যন্ত্রণ সহ করিয়াও কোন প্রকারে জীবন ধারণ করিয়া রছিলেন, হায় মৃত্যুকালে তাহাকে একবার দর্শন করা সাঁতার उाछा बांश न ! गौडात्र अन्छे बख्हे भन । जङ्ग जौडात्र भन्न পূৰ্ব্বস্তৃতি জাগ্রত হইল ; তাহার শুভ্র গণ্ডস্থল অশ্রুজলে প্লাবিত হইয় গেল । স্বামী, জনক, জননী, শ্বশ্রী ও অন্যান্ত গুরুজনকে তিনি উদ্দেশে প্রণাম করিলেন, এবং সুস্থিরচিত্ত হইয়। আত্মহত্যাসাধনের . উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। সীতা অনেক চিন্তা করিয়াও কোন সহজ উপায় উদ্ভাবন করিতে সক্ষম হইলেন না। সীতার নিমিত্ত জগতে একখণ্ড রজুও বিদ্যমান নাই! সীতার স্তায় মন্দভাগিনী আর কে আছে ? সহসা তাহার মুখমণ্ডল প্রফুল্প হইল ; সীতার নিমিত্ত একখণ্ড রজু নাই বটে, কিন্তু তাহার পৃষ্ঠলম্বিত সুদীর্ঘ বেণী আছে। পাতিব্ৰত্যই একবেণীধারণের উদ্দেশু ; সেই বেণীই আজ সীতার পাতিব্ৰত্য রক্ষা করিবে ; সীতাদেবী আপনার বেণীর সাহায্যেই আজ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন করিবেন । এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া তিনি শিংশপা বৃক্ষের এক শাখা ধারণ করিলেন এবং শোকাকুলমনে রাম লক্ষ্মণ ও আত্মকুল স্মরণ করিতে করিতে আত্মহত্যাসাধনের সুযোগ প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন i । - মহাবীর হনুমান অশোককামনে রাবণের আগমন অবধি সীতার আত্মহত্যার নিমিত্ত এই ভীষণ সঙ্কল্প পর্য্যস্ত সমস্ত ঘটনাই প্রচ্ছন্নভাবে অবলোকন করিতেছিলেন। সীতার পাতিব্ৰত্যতেজদর্শনে তাহার নেত্রদ্ধয় অশ্রুপূর্ণ হইয়া গেল এবং সীতার দুঃখে তাহার হৃদয় অতিশয় ব্যথিত হইল। জানকীকে আত্মহত্যা সম্বন্ধে কৃতনিশ্চয় দেখিয়া তিনি শঙ্কিত হইলেন। সীতা প্রাণত্যাগ করিলে হনুমানের সাগরলঙ্ঘন