পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯwსo সীতা । হনুমান সীতার সন্নিহিত হইয় তাহাকে আশ্বস্ত করিতে লাগিলেন ; কিন্তু সীতাদেবী তাছার কথায় সহজে প্রত্যয় স্থাপন করিতে পারিলেন না। তখন মহাবীর পবনকুমার সীতার মনে বিশ্বাস সমুৎপাদনের নিমিত্ত র্তাহার হরণ অবধি নিজের সাগরলজঘন পৰ্য্যন্ত সমস্ত ঘটনাই বিবৃত করিলেন এবং রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণের আকারপ্রকারও বর্ণিত করিতে লাগিলেন। সীতাদেবী হনুমানের বাক্যে আর অবিশ্বাস করিতে পাবিলেন না ; তিনি তাহার নিকট রামলক্ষ্মণের কুশলসংবাদ শ্রবণ করিয়া আননাশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন । অনন্তর জানকী । আত্মসংযম করিয়া হনুমানের নিকট রামলক্ষ্মণ সম্বন্ধে কত কথাই জিজ্ঞাসা করিলেন, নিজ দুরবস্থার সমগ্র দুঃখময় ইতিহাস কীৰ্ত্তন করিলেন এবং রামলক্ষ্মণ যে অনাথিনীকে ভুলিয়া আছেন ও র্তাহার উদ্ধারের নিমিত্ত এতকাল বিলম্ব করিতেছেন, ইহা চিন্তা করিয়া অজস্র বাষ্পবারি বিমোচন করিলেন। আর দুইমাস কালমাত্র অবশিষ্ট আছে ; যদি ইহার মধ্যেই সীতার উদ্ধার না হয়, তবে তিনি নিশ্চয়ই প্রাণত্যাগ করবেন। সীতার বিলাপশ্ৰবণে হনুমান তাহাকে আশ্বস্ত করিয়া তাহার সমুদ্ধারার্থ ও পাপাত্মা রাবণের দণ্ডবিধানার্থ যে যুদ্ধোদ্যম হইতেছে, তাহার উল্লেখ করিলেন, এবং তৎবিরহে রামও যে কিরূপ কষ্টে কালাতিপাত করিতেছেন, তাহারও কিঞ্চিৎ আভাস প্রদান করিলেন। সীতাদেবী প্রিয়তমের কষ্টের কথা শুনিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। অনন্তর হনুমান সাঁতার হস্তে রামপ্রদত্ত একটা স্বর্ণাঙ্গুরীয় প্রদান করিলেন ; ঐ অঙ্গুরীয়কে রামনাম অঙ্কিত ছিল ; সীতা তাহ দেখিবামাত্রই রামের বলিয়া চিনিতে পারিলেন এবং সাদরে তাহা গ্রহণপূর্বক অবিস্তৃপ্তলোচনে পুনঃপুনঃ দর্শন করিতে লাগিলেন। সীতাকে যারপরনাই কাতর দেখিয়া মহাবল হনুমান তাহাকে স্বগৃষ্ঠেই আরোপণ পূৰ্ব্বক রামসন্নিধানে লইয়া যাইতে ইচ্ছ