দশম অধ্যায় । >もや সিংহনাদ পরিত্যাগ করিতে লাগিলেন। কুমার অক্ষের বধসংবাদ শ্রবণে রাবণ রোষে চিন্তাগ্নির ন্যায় প্রজলিত হইয়া উঠিল এবং বীরশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রজিৎকে তৎক্ষণাৎ বানরবধে প্রেরণ করিল। इन्गांन ইন্দ্রজিৎকর্তৃক পরাজিত হইয়া স্বেচ্ছাক্রমে পাশবদ্ধ হইলেন এবং : দুরন্ত রাক্ষসগণকর্তৃক নানাপ্রকারে তাড়িত হইয় আপনাকে রাবণসমীপে সমানীত হইতে দিলেন । রাবণের সহিত একবার সাক্ষাৎকার করাই তাহার প্রধান উদেশ্য ছিল। রাবণ হনুমানকে দেখিবামাত্র তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল। হনুমান নিৰ্ভীকচিত্তে রাবণকে আত্মপরিচয় প্রদান করিয়া লঙ্কায় তাহার আগমনকারণ যথাযথ বর্ণনা করিলেন, এবং রামের সহিত মিত্ৰত স্থাপন করিয়া সীতাদেবীকে অনতিবিলম্বে র্তাহার হস্তে প্রত্যপণ করিতে উপদেশ প্রদান করিলেন। । রাবণ হনুমানের বাক্যে অতিশয় কুপিত হইল। হনুমান কিছুতেই ভীত হইবার পাত্র নহেন; তিনিও রাবণের পাপাচারের কথা উল্লেখ করিয়া তাহাকে সভামধ্যেই তিরস্কার করিতে আরম্ভ করিলেন । রাবণ ক্রুদ্ধ হইয়া হনুমানের প্রাণদণ্ডের আজ্ঞা প্রদান করিল; কিন্তু মহামতি বিভীষণ রাক্ষসরাজের ক্রোধ প্রশমিত করিয়া দূতের অবধ্যত৷ প্রতিপাদন করিলেন, এবং হনুমানকে কোনওরূপে বিকৃতাঙ্গ । করিয়া লঙ্কা হইতে দূরীভূত করিতে পরামর্শ দিলেন। রাবণ তদনুসারে হনুমানের পুচ্ছ দগ্ধ করিতে আদেশ প্রদান করিল। মহাবীর হনুমানের সুদীর্ঘ পুচ্ছটি তৈলসিক্ত ছিন্নবস্ত্রে সংবৃত হইলে, রাক্ষসেরা তাহাতে অগ্নিসংযোগ করিয়া দিল। অগ্নি প্ৰজলিত হইবামাত্র, হনুমান একলক্ষে গৃহচূড়ে আরোহণ করিয়া তাহাতে সেই অগ্নি প্রদান করিলেন এবং ক্ষিপ্রতাসহকারে গৃহ হইতে গৃহান্তরে লম্ফ প্রদান পুৰ্ব্বক মুহূৰ্ত্তমধ্যে সেই সুশোভন লঙ্কাপুরীকে অগ্নিমালায় মুসজ্জিত করিলেন । আনন্দনিমগ্ন সেই মহানগরী অবিলম্বে হাহাকারে পরিপূর্ণ হইয়া গেল
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।