দ্বিতীয় অধ্যায়। »e আবির্ভাব হইল। অগ্নিস্ফলিঙ্গে যেমন দাহিকাশক্তি আছে, সেইরূপ হুকুমার রামচন্ত্রের স্বকোমল দেহেও সিংহের পরাক্রম দর্শন করিয়া তিনি তাহার ভূয়সী প্রশংসা করিতে লাগিলেন। ভগবৎকৃপায় তাহার প্রতিজ্ঞ। পূর্ণ হইয়াছে এবং প্রিয়তম জানকীও রামের সহিত পন্ধিশীত হইয়৷ পিতৃকুলে কীর্তিস্থাপন করিবেন এই চিন্তায় তাহার হৃদয় আননে উৎফুল্প হইল। তিনি মহর্ষি বিশ্বামিত্রের অনুমতি গ্রহণপূৰ্ব্বক মহারাজ দশরথকে এই শুভ সংবাদ জ্ঞাপন ও তাছাকে অনতিবিলম্বে মিথিলায় আনয়ন করিতে শীঘ্রগামী রথে দূত সকল প্রেরণ করিলেন। দূতেরাও যথাসময়ে অযোধ্যায় উপনীত হইয়া মহারাজকে ধতুৰ্ভঙ্গব্যাপার ও রামলক্ষ্মণের কুশল সংবাদ জ্ঞাপন করিল। এদিকে ধনুৰ্ভঙ্গসংবাদ মিথিলা নগরীর মধ্যে প্রচারিত হইবামাত্র হৰ্ষ-বিস্ময়-সম্বলিত এক মহান কোলাহল সমুখিত হইল। সকলে এক বাক্যে রাজকুমার রামচন্দ্রের প্রশংসা করিতে লাগিল। বিবাহের দিন সন্নিকট দেখিয়া প্রশস্ত রাজপথসকল পরিষ্কৃত, উন্নতানত স্থান সমূহ সমতল, এবং স্থলে স্থলে মনোহর তোরণসমূহ মুসজ্জিত হইতে লাগিল। পুরবাসিগণ আপনাদের গৃহদ্বার পুষ্পমালা ও লতাজালে বেষ্টন করিল এবং নগরীর মধ্যে নিরস্তর মঙ্গলময় বাদ্যধ্বনি হইতে লাগিল। জনকের অন্তঃপুরও বিবাহোচিত, মাঙ্গল্যোৎসবে অপূৰ্ব্ব শোভ ধারণ করিল। - - . . সীতার বয়ঃক্রম এ সময়ে কেবলমাত্র দশম বা একাদশ বর্ষ হইয়াছিল । বটে, কিন্তু রাম হরধছু ভঙ্গ করিয়া পিতাকে প্রতিজ্ঞাপাশ ও চিন্তাজাল । श्रेष्ड निर्वुङ कब्रिात्रुन देश उनिद्रा डिनि ब्रारभद्र अडि অস্থান হইলেন, এবং লোকমুখে ভাবী ভৰ্ত্তার অলৌকিক রূপলাৰণ্য ও অসামান্ত পৌরুষের কথা শ্রবণ করিয়া মনে মনে অতিশয় পুলক্ষিত হইতে লাগিলেন । ফলতঃ, যে বয়সে সীতার বিবাহ হইয়াছিল, সে
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।