აყსr সীতা । নিমিত্ত নিয়তই সীতাসন্নিধানে অবস্থান করিতেন । রাঘববনিতা র্তাহাকেই বিশ্বাস করিয়া আপনার দুঃখকাহিনী বর্ণনা করিতেন। সরমার হৃদয় স্ত্রীজনোচিত কোমলতায় পরিপূর্ণ ছিল ; সীতার দুঃখে সরমা অশ্রমোচন করিতেন। রামচন্দ্রের সসৈন্তে লঙ্কায় আগমন অবধি রাবণ কিরূপ মন্ত্রণা করিতেছে, সরমাতাহ অবগত হইয়া সীতাকে জ্ঞাপন করিতেন, এবং তাহাকে নানাপ্রকারে প্রফুল্ল রাখিতে চেষ্টা করিতেন । দেবী সয়ম। মন্দভাগিনী সীতার অন্ধকারময় জীবনের একমাত্র আলোকস্বরূপ ছিলেন। সীতা এই প্রিয়সর্থীর সহবাসে ক্ষণ- . কালের নিমিত্তও আপনার দুঃখজালা বিস্কৃত হইতে সমর্থ হইতেন। ধৰ্ম্মপরায়ণ বিভীষণ সীতাদেবীর কিরূপ হিতাকাঙ্ক্ষ ছিলেন, তাহা পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে। রামহস্তে সীতাপ্রত্যপর্ণরূপ হিতবাক্য বলিয়াই তিনি রাণকর্তৃক যৎপরোনাস্তি অবমানিত হইয়াছিলেন ; সেই কারণে তিনি রাবণের সংশ্রব পরিত্যাগ করিয়া রামের আশ্রয় গ্রহণ করেন। বিভীষণের কলানামী এক কন্যাও সীতার অতিশয় হিতৈষিণী ছিলেন । রাবণের পারিষদবর্গের মধ্যেও কেহ কেহ সীতার পক্ষ হইয়া রাবণকে হিতোপদেশ প্রদান করিতেন। রাবণের মাতামহ বৃদ্ধ মাল্যবান ও অবিন্ধ্য প্রভৃতি রাক্ষসগণ দুঃখিনী সীতাকে স্বামীর নিকট প্রেরণ করতে অনেক অনুরোধ করিতেন ; কিন্তু দুরাত্মা রাবণ র্তাহাদের হিতকর বাক্যে কিছুতেই কৰ্ণপাত করিত না। মৃত্যু যেন কেপ্তাকর্ষণ করিয়াই তাহাকে রামের সহিত যুদ্ধে প্রবর্ধিত করিতে লাগিল । রাবণ রামের সৈন্যবল ও বীৰ্য্যের পরিচয় পাইয়া অতিশয় শঙ্কিত হইল, কিন্তু সেই পাপাত্মা সেনাপতি ও মন্দবুদ্ধি মন্ত্রিগণ কর্তৃক সমুৎসাহিত হইয়া রামের সহিত সন্ধিস্থাপনের কোন চেষ্টাই করিল না। রামচন্দ্র যুদ্ধ আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে রাবণের নিকট
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।