একাদশ অধ্যায় । ➢ፃ¢ লইয়। আইস।” সীতাদেবী মলিনবেশে দীনচিত্তে অশোককাননে রাক্ষসীপরিবেষ্টিত হইয়। উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময়ে হনুমান তাহাকে অভিবাদন করিয়া রামলক্ষ্মণের কুশলবার্তা ও দুরাত্মা রাবণের বধসংবাদ অবগত করাইলেন। দেবী জানকী হনুমানের মুখে এই প্রিয়সংবাদ শ্রবণ করিয়া হর্ষভরে কিয়ৎক্ষণ বাঙ্গনিম্পত্তি করিতে সমর্থ হইলেন না। ক্ষণকাল পরে তিনি বলিলেন “বৎস, তুমি আমার যে কথা শুনাইলে, ভাবিয়াও আমি ইহার অনুরূপ কোন দেয় বস্তু দেখিতে পাই না। তোমাকে দান করিয়া মুখী হইতে পারি, পৃথিবীতে এমন কিছুই দেখিতেছি না । সুবর্ণ বিবিধ রত্ন বা ত্ৰৈলোক্যরাজ্যও এই মুসংবাদের প্রতিদান হইতে পারে না।” (8 ه دان) হনুমান সীতার বাক্যে আনন্দিত হইয়া তৎপ্রতিকামনায় সীতার ক্লেশদাত্রী দুরন্ত রাক্ষসীগণকে বধ করিবার অনুমতি প্ৰাথনা করিলেন। কিন্তু দীন৷ দীনবৎসল জানকী চিন্ত ও বিচার করিয়া তাহাকে সেই নিষ্ঠুর কার্য্য হইতে বিরত করিলেন। সীতা বলিলেন “বীর, যাহার রাজার আশ্রিত ও বশু, যাহারা অন্তের আদেশে কাৰ্য্য করে, সেই সমস্ত আজ্ঞানুবৰ্ত্তিনী দাসীর প্রতি কে কুপিত হইতে পারে? আমি অদৃষ্টদোষ ও পূৰ্ব্ব হস্কৃতিনিবন্ধন এইরূপ লাঞ্ছনা সহিতেছি । বলিতে কি, আমি স্বকাৰ্য্যেরই ফলভোগ করিতেছি । অতএব তুমি উহাদিগকে বধ করিবার কথা আমার আর বলিও না। আমার এইটি দৈবী গতি । এক্ষণে আমি ইহাদিগকে, নিতান্ত অক্ষম ও দুৰ্ব্বলের ন্যায়, ক্ষমা করিতেছি। ইহার রাবণের আজ্ঞাক্ৰমে আমায় তর্জন গর্জন করিত। এখন সে বিনষ্ট হইয়াছে, সুতরাং ইহীরাও আর আমার প্রতি সেহরূপ ব্যবহার করিবে না। যাহার। অন্তের প্রেরণায় পাপাচরণ করে, প্রাজ্ঞ ব্যক্তি তাহাদিগের প্রত্যপ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।