>br R সীতা । অবস্থায় আমার যে অদম্পর্শ দোষ ঘটিয়াছিল, তদ্বিষয়ে আমি কি করিব, তাহাতে দৈবই অপরাধী। যেটুকু আমার অধীন, সেই হৃদয় তোমাতে ছিল ; আর যেটুকু পরের অধীন হইতে পারে, সেই দেহ সম্বন্ধে আমি কি করিব ? আমি ত তখন সম্পূর্ণ পরাধীন। যদি পরস্পরের প্রবৃদ্ধ অনুরাগ এবং চিরসংসর্গেও তুমি আমার না জনিয়া থাক, তবে ইহাতেই ত আমি এককালে নষ্ট হইয়াছি ! তুমি আমার অনুসন্ধানের জন্ত যখন হনুমানকে লঙ্কার প্রেরণ করিয়াছিলে, তখন কেন পরিত্যাগের কথা শ্রবণকরণও নাই ? আমি এই কথা শুনিলেই । ত সেই বানরের সমক্ষে তৎক্ষণাৎ প্রাণত্যাগ করিতে পারিতাম । এইরূপ হইলে তুমি আপনার জীবনকে সঙ্কটে ফেলিয়া বৃথা কষ্ট পাইতে না, এবং তোমার সুহৃদগণেরও অনর্থক কোন ক্লেশ হইত না । রাজন, তুমি ক্রোধের বশীভূত হইয়া নিতান্ত নীচলোকের ন্তায় আমাকে অপরসাধারণ স্ত্রীজাতির সহিত অভিন্ন ভাবিতেছ, কিন্তু আমার জানকী নাম কেবল জনকের যজ্ঞসম্পর্কে, জন্মনিবন্ধন নহে। পৃথিবীই আমার জননী । এক্ষণে তুমি বিচারক্ষম হইয়াও আমার ৰহমানযোগ্য চরিত্র বুঝতে পারিলে না ; বাল্যে যে উদেশে আমার পাণিপীড়ন করিয়াছ, তাছাও মানিলে না এবং তোমার প্রতি আমার প্রীতি ও ভক্তি সমস্তই পশ্চাতে ফেলিলে ?” (৬৷১১৭) এই বলিয়া জানকী রোদন করিতে করিতে বাস্পগদগদম্বরে হুঃখিত ও চিন্তিত লক্ষ্মণকে কহিলেন “লক্ষ্মণ, তুমি আমায় চিতা প্রস্তুত করির দাও ; এক্ষণে তাহাই আমার এই বিপদের ঔষধ। আমি মিথ্যা অপবাদ সহ করিয়া আর বঁাচিতে চাই না । জৰ্ত্ত আমার গুণে অঞ্জত, তিনি সৰ্ব্বসমক্ষে আমায় পরিত্যাগ করিলেন। এক্ষণে আমি অগ্নিপ্রবেশ পূর্বক দেহ পাত করিব।” (৬১১৭) লক্ষ্মণ বাস্পাকুললোচনে রোযভরে রামের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন এবং আকার
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।