একাদশ অধ্যায় । *५० প্রকারে তাহার মনোগতভাব বুঝিতে পারিয়৷ তাছারই আদেশে তৎ- - ক্ষণাৎ এক চিতা প্রস্তুত করিলেন। চিতাগ্নি প্ৰজলিত হইয়া উঠিল। উপস্থিত ব্যক্তিগণের মধ্যে কেহই সাহস পূৰ্ব্বক কালাস্তক্যমতুল্য রামকে কোন কথা বলিতে সমর্থ হইলেন না। সীতাদেবী স্বামীকে প্রদক্ষিণ করিয়৷ জলন্ত চিতার নিকটস্থ হইলেন এবং দেবতা ও ব্রাহ্মণগণকে অভিবাদন করিয়া কালিপুটে অগ্নিসমক্ষে কহিলেন “যদি রামের প্রতি আমার মন অটল থাকে, তবে এই লোকসাক্ষী অগ্নি সৰ্ব্বতোভাবে আমায় রক্ষা করুন। রাম সাধবী সীতাকে অসতী জানিতেছেন, যদি আমি সতী হই, তবে এই লোকসাক্ষী অগ্নি সৰ্ব্বতেভাবে আমায় রক্ষা করুন।” এই ৰলিয়া জানকী চিতা প্রদক্ষিণ পূৰ্ব্বক নিৰ্ভয়ে অকাতরে প্রদীপ্ত অঙ্কিমধ্যে প্রবেশ করিলেন! আবালবৃদ্ধ সকলে আকুল হইয় দেখিল সেই তপ্তকাঞ্চনবর্ণ তপ্তকাঞ্চনভূষণ সৰ্ব্বসমক্ষে জলন্ত অগ্নিমধ্যে পতিত হইলেন । মহর্ষি দেবতা ও গন্ধৰ্ব্বগণ সবিস্ময়ে দেখিলেন ঐ বিশাললোচন যজ্ঞে পুৰ্ণাহুতির ন্তায় অগ্নিতে পতিত হইলেন। সমবেত স্ত্রীলোকের আকুলহৃদয়ে রোমাঞ্চদেহে দেখিলেন তেজোগৰ্ব্বিত জানকী মন্ত্রপূ ত বসুধারার ন্যায় অগ্নিমধ্যে পতিত হইলেন । চারিদিকে হাহাকারধ্বনি উঠিল ; জীবজন্তুসকল তুমুলরবে আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল এবং সকলে বিলাপধ্বনিতে গগনমণ্ডল পরিপূর্ণ করিল ! রাম জানকীর এই অলৌকিক কাৰ্য্যদর্শন ও তৎকালে সকলের মুখে নানাকথা শ্রবণ করির অত্যন্ত বিমন হইলেন এবং বাস্পাকুললোচনে চিন্তা করিতে লাগিলেন। সহসা দৈববাণী হইল “রাম, তুমি সকলের কৰ্ত্ত, ও জ্ঞানিগণের অগ্রগণ্য, এক্ষণে সামান্তলোকের 莎弧, জানকীর অগ্নিপ্রবেশে উপেক্ষা করিতেছ কেন ? এই সীতা সাক্ষাৎ লক্ষ্মী ও নিম্পাপ, তুমি ইহঁাকে গ্রহণ কর। তুমি স্বয়ং বিষ্ণু, রাবণ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৮৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।