खोश्म चथाम्न । রামচন্দ্র সীতাদেবীকে নিম্পাপ ও শুদ্ধচারিণী জানিয়া গ্রহণ করিলে, সকলে এক মহান আননকোলাহল করিয়া উঠিল। জানকী বহুপ্রকার বিঘ্নবিপত্তির পর দেবকল্প স্বামীর পবিত্র চরণতলে স্থান পাইয়া হর্ষভরে কিয়ৎক্ষণ বাঙ নিম্পত্তি করিতে অক্ষম হইলেন এবং নিজের প্রতি প্রিয়তমের অপ্রত্যাশিত কঠোর ব্যবহার সকল একেবারে বিস্তৃত হইয়া গেলেন। সুদীর্ঘকালব্যাপী কষ্টময় অসহ বিচ্ছেদের অবসানে দম্পতীযুগল পরস্পরে মিলিত হইয়া অশ্রুজলে সমস্ত দুঃখজালা নিৰ্ব্বাপিত করিলেন এবং বিমল শাস্তিমুখের অধিকারী হইয়। জীবন যেন সার্থক করিলেন। শোককুশ, চিন্তামলিন, তাপসব্রতধারিণী জানকীর স্নেহময় পবিত্র চন্দ্রমুখ দর্শন করিয়া রামের প্রেমপূর্ণ হৃদয় উচ্ছ সময় সমুদ্রের ন্তায় উদ্বেলিত হইয়া উঠিল। কিয়দিনের জন্য উভয়ের জীবনাকাশে যে বিষাদমেঘ পরিদৃষ্ট হইয়াছিল, সহসা তাহ অন্তৰ্হিত হইলে আবার এক অভিনব পুণ্যজ্যোতি তাহাদের মুখমণ্ডলে ক্রীড়া করিতে লাগিল। রামচন্দ্র আবার সেই বনচারী, ধনুৰ্ব্বাণধারী, আনন্দময় জানকীবল্লভের স্তায় এবং সীতাদেবীও সেই প্রফুল্লতাময়ী, অরণ্যচারিণী, বনদেবী রাঘবপত্নীর ন্যায় পরিলক্ষিত হইতে লাগিলেন। তখন র্তাহাদিগকে দেখিয়া বোধ হইল যেন তাহারা জীবনে কখন ক্ষণকালের জন্তও বিচ্ছেদযন্ত্রণ অনুভব করেন নাই, যেন সীতাহরণ রাবণবধ প্রভৃতি কাৰ্য্যসকল র্তাহাদের নিকট অবাস্তব ঘটনা এবং স্বপ্লবৎ অস্পষ্ট ও অলীক ! ফলতঃ তৎকালে উভয়েই হর্ষোল্লাসে নিৰ্ম্মল গগনবিহারী পূর্ণচন্ত্রের স্তায় শোভা পাইতে লাগিলেন
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।