ᎼᎭbr সীতা । গণের সহিত সীতার পরিচয় হইল ; সীতাদেবী তাহাদিগকে সেই পুষ্প করথেই অযোধ্যায় লইয়া যাইতে অতিশয় আগ্রহ প্রকাশ করিলে, তাহারাও তৎসমভিব্যাহারে গমন করিতে সম্মত হইলেন। অনন্তর বিমান কিষ্কিন্ধ পরিত্যাগ করিয়া অযোধ্যাভিমুখে গমন করিতে লাগিল । রামচন্দ্র প্রিয়তমাকে ঋষ্যমূক পৰ্ব্বত, মনোহর পম্পাসরোবর প্রভৃতি রমণীয় প্রদেশ সকল দেখাইয়া সেই সেই স্থলে তৎবিরহে কিরূপ কষ্টে কালাতিপাত করিয়াছিলেন তাহ কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। পূজ্যস্বভাব। শবরীর আশ্রম, কবন্ধের বধস্থল, স্বচ্ছসলিলা গোদাবরী, পঞ্চবটীবনে তাহাদের পূর্ব আশ্রমপদ, রমণীয় পর্ণশালা, কিঙ্কিনীশকে চকিত মৃগদল, অগস্ত্যাশ্রম, শরভঙ্গাশ্রম, সুতীক্ষ্ণাশ্রম, মহর্ষি অত্রির আশ্রম ও চিত্ৰকুট পৰ্ব্বত প্রভৃতি দর্শন করিতে করিতে সীতাদের মনোমধ্যে অপূৰ্ব্ব ভাবসকল অনুভব করিতে লাগিলেন। দূর হইতে অক্ষয় বট, চিত্রকানন যমুনা ও পুণ্যসলিলা জাহ্নবী দর্শন পূৰ্ব্বক সীতাদেবী তাহাদিগকে ভক্তিভরে প্রণাম করিলেন। বিমান অনতিবিলম্বে মহর্ষি ভরদ্বাজের আশ্রমে উপনীত হইল । রামলক্ষ্মণ রথ হইতে অবতরণ করিয়া মহর্যিকে অভিবাদন করিলেন এবং তাহার নিকট অযোধ্যার সর্বাঙ্গীন কুশল সংবাদ শ্রবণ করিয়া পুলকিত হইলেন। হনুমান রামের আদেশে অগ্রসর হইয়া নন্দিগ্রামে ভরতকে সকলের আগমনসংবাদ প্রদান করিলেন । তাপসবেশধারী ভ্রাতৃবৎসল মহাবীর ভরত অগ্রজের আগমনসংবাদ প্রাপ্ত হইয়া চতুর্দিকে আনন্দোৎসব ঘোষণা করিলেন এবং তাহার প্রত্যুগমনার্থ অমাত্যবর্গ ও পুরবাসিগণের সহিত মহোল্লাসে অগ্রসর হইতে লাগিলেন । - এদিকে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই রামসন্দর্শনার্থ সমুৎসুক হইয়া, কেহ যানে, কেহ বাহনে এবং কেহ বা পদব্রজেই ধাবমান হইল। তাছা
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।