পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । Ֆեր:» দের হর্ষধ্বনি আকাশ ভেদ করিয়া উখিত হইল। রাম প্রীতমনে প্রজাপুঞ্জকে অবলোকন করিতে লাগিলেন। ভরতকে পদব্রজে আসিতে দেখিয়া রামচন্দ্র পুষ্পকরথকে ভূমিতলে অবতীর্ণ হইতে আদেশ করিলেন। ভরত স্বাগত প্রশ্ন করিয়া পাদ্যঅৰ্ঘ্য দ্বারা অগ্রজের পূজা করিলেন এবং তাহাকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া প্রণত লক্ষ্মণকে সাদর সম্ভাষণ করিলেন। অনস্তর তিনি সীতাদেবীকে অভিবাদন করিয়৷ সুগ্ৰীব হনুমান প্রভৃতি বানরগণকে ও রাক্ষসরাজ বিভীষণকে আলিঙ্গন করিলেন। রামচন্দ্র বহুকালের পর কুমার ভরতকে অবলোকন করিয়া আনন্দাশ্র বিসর্জন পূর্বক তাহাকে ক্রোড়ে লইয়া আলিঙ্গন করিলেন। ঐ সময়ে মহাবীর শত্রুঘ্ন রামলক্ষ্মণকে যথাবিধি অভিবাদন করিয়া সীতাদেবীর পাদবনান করিলেন। অনন্তর রামচন্দ্র শোক কৃশ, বিবর্ণ জননী কৌশল্যাদেবীর সন্নিহিত হইয়। র্তাহার হর্ষ বৰ্দ্ধন ও চরণ বন্দন করিলেন, পরে সুমিত্র কৈকেয়ী ও অন্যান্য মাতৃগণকে অভিবাদন করিয়া পুরোহিতের নিকট উপস্থিত হইলেন । নগরবাসীরা কৃতাঞ্জলিপুটে তাহাকে স্বাগত প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। ইত্যবসরে ধৰ্ম্মশীল ভরত স্বয়ং সেই দুইখানি পাদুকা লইয়। রামের পদে পরাইয়া দিলেন এবং কৃতাঞ্জলি হইয়া তাহাকে কহিলেন “আর্য্য, আপনি যে রাজ্য আমার হস্তে দ্যাসস্বরূপ সমৰ্পণ করিয়াছিলেন, আমি তাহা আপনাকে প্রতাৰ্পণ করিলাম। যখন আমি মহারাজকে অযোধ্যায় পুনরাগত দেখিতেছি, তখন আজ আমার জন্ম সার্থক ও ইচ্ছ পুর্ণ হইল। এক্ষণে আপনি ধনাগার, কোষাগার, গৃহ, সৈন্ত, সমস্তই পৰ্য্যবেক্ষণ করুন। আমি আপনারই তেজঃপ্রভাবে সমস্ত বিভব দশগুণ বৃদ্ধি করিয়াছি।” (৬৷১২৮) রামচন্দ্র অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করিয়া রাজ্যপদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন এবং সুগ্ৰীব, হনুমান, বিভীষণ প্রভৃতি সুহৃদ্বর্গকে যথাযোগ্য উপহার