১৯ • সীতা । প্রদান করিয়া সম্মানিত করিলেন। রাম প্রিয়তম জানকীকে এক মণিমণ্ডিত, জ্যোৎস্নাধবল মুক্তাহার উপহার দিলেন, দেবী জানকী কণ্ঠ হইতে সেই হার উন্মোচন করিয়া পূৰ্ব্বোপকার স্মরণপূর্বক স্বামীর সম্মতিক্রমে হনুমানকেই তাহ প্রদান করিলেন। মহাবীর হনুমান সীতাদেবীর এই প্রতিদানে সম্মানিত হইয়া হৰে আপ্লুত হইলেন। মহর্ষি বশিষ্ঠ, বিজয়, জাবালি কাশ্যপ, কাত্যায়ন, গৌতম ও বামদেব, ইছার রামচন্দ্রের অভিষেকক্রিয়া সম্পন্ন করিলেন। অযোধ্যানগরী অভিষেকোৎসবে অপূৰ্ব্ব শোভা ধারণ করিল। রাম রাজ্যভার গ্রহণ . করিলে, সকলে আপনাদিগকে সনাথ মনে করিল। কিয়দিন পরে সুগ্ৰীবাদি বানরগণ ও রাক্ষসরাজ বিভীষণ অমাত্যগণের সহিত রামের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব স্থানে প্রস্থান করিলেন। রামচন্দ্র হৃষ্টমনে রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হইয়া প্রাণাধিক লক্ষ্মণকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিতে মনস্থ করিলেন, কিন্তু মহামতি লক্ষ্মণ অগ্রজের নিয়োগে কিছুতেই সন্মত হইলেন না। তখন সুশীল ভরতই উক্তপদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। ধৰ্ম্মবৎসল রাম অপত্যনিৰ্ব্বিশেষে প্রজাপালন করিতে লাগিলেন। র্তাহার রাজত্বকালে রাজ্য সুশৃঙ্খলে শাসিত হইতে লাগিল এবং প্রজাবৰ্গ সুখে ও স্বাচ্ছন্দ্যে কালাতিপাত করিতে লাগিল । তিনি অনেক মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিলেন, এবং লোকসাধারণের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানেও প্রাণপণে সহায়তা করিতে লাগিলেন। তিনি রাজসিংহাসনে সমারূঢ় হইলে, অনেকানেক ঋষি তাহাকে অভিনন্দন করিবার নিমিত্ত নানাদিগেদশ হইতে তদীয় রাজসভায় সমাগত হইলেন। রামচন্দ্র তাহীদের যথাবিধি পুজাৰ্চনা করিয়া বিমল প্রীতিলাভ করিলেন। মহর্ষিগণ রাবণকুম্ভকৰ্ণাদি দুরন্ত রাক্ষসগণের, বিশেষতঃ ইন্দ্ৰজিতের, বধের নিমিত্ত তাহার অতিশয় প্রশংসা করিতে লাগিলেন। রামচন্দ্র রাজসভামধ্যে :
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।