১৯R সীতা । । নাই। সীতা যেরূপ মুখে রাজপ্রাসাদে বাস করিতেন, আরণ্যেও সেইরূপ মুখে কালযাপন করিয়াছিলেন। কেবল রাক্ষসগৃহেই র্তাহাকে যাহ। কিছু নরকযন্ত্রণ ভোগ করিতে হইয়াছিল মাত্র। সেযাহা হউক,(সীতাদেবী এত দিনে রাজমহিষী হইলেন। সীতার কেহ সপত্না নাই ; রামচন্দ্র কখন কোনও নারীর প্রতি ভ্রমক্ৰমেও দৃষ্টিপাত করেন না ; তিনি যেরূপ জিতেন্দ্রিয় ও ধৰ্ম্মপরায়ণ, সেইরূপ পত্নীর প্রতি একান্ত অনুরাগবান। তিনি সীতাকে প্রাণাপেক্ষাও অধিকতর ভালবাসেন এবং তাহাকে শ্রদ্ধা ও প্রীতির সহিত অবলোকন করেন। রাজমহিষী সীতাদেবী আজ যথার্থই সৌভাগ্যশালিনী । আজ স্বামীর সহিত তিনি সমগ্র সাম্রাজ্যের অধীশ্বরী ; ভ্রাতৃগণ, অমাত্যগণ, ও কত শত রাজা রামের অনুগত ; রাম নিজ প্রতাপে রাজ্য শাসন ও প্রজাপালন করিতেছেন ; তাহার গৌরবের সীমা নাই ; সীতাদেবী ও আজ সেই গৌরবে গৌরবান্বিত ; কিন্তু তিনি রাজমহিষীর পদে অধিষ্ঠিত হইয়া কি কিছুমাত্রও অহঙ্কত হইয়াছেন ? সীতার জীবনে কি কোন পরিবর্তন হইয়াছে ? সাঁতার বাল্যকাল হইতে আজ পর্য্যস্ত র্তাহার জীবনেতিহাসের প্রত্যেক ঘটনা যাহার মনোযোগসহকারে পাঠ করিয়াছেন তাহারাই এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে সক্ষম । অবস্থার পরিবর্তনে সীতার জীবনে কোনও পরিবর্তন হয় নাই। রাজপুত্রবধূ জানকী যেরূপ বিনীত ও শ্বশ্ৰগণের সেবাপরায়ণ ছিলেন, রাজমহিষী সীতাদেবীও আজ তদ্রুপই বিনম্র, নিরহঙ্কার ও গুরুজনের শুশ্রষণে নিরত। সীতাদেবী পূৰ্ব্বাহ্নে দেৰপূজা সমাপন করিয়া নিৰ্ব্বিশেষে শ্বশ্ৰগণের সেবা করিতেন। তিনি রাজমহিষী, সুতরাং এক্ষণে রাজসংসারের একমাত্র অধিষ্ঠাত্রী কত্রী। একটা স্ববৃহৎ রাজসংসারকে মুশৃঙ্খলে পরিচালিত করিতে হইলে, যে যে গুণের প্রয়োজন হয়, সীতাদেবীতে তৎসমুদয়ই
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/১৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।