ఏly সীতা । রাজর্ষি জনকের সহিত বাক্যালাপ করিবেন ? এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে রাম সীতাশোকে বিহ্বল হইয়া হাহাকার করিয়া ক্রনন করিতে লাগিলেন। এদিকে ভরত ও লক্ষ্মণ দূর হুইতে মহারাজের এই আকস্মিক মনোভাব অবলোকন করিয়া অতিশয় ব্যাকুল হইলেন এবং একাত্ত উদ্বিগ্নহৃদয়ে তাহার সন্নিহিত হইলেন। রাম তাহাদিগকে দেখিয়াই অধিকতর প্রবলবেগে অশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন। ক্ষণকাল পরে তিনি কষ্টে আত্মসংযম করিয়া ভ্রাতৃদ্বয়ের নিকট সীতার অপবাদসংক্রান্ত সমস্ত কথাই বিবৃত করিলেন। তিনি লক্ষ্মণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন “বৎস, মহাত্মা ইক্ষাকুবংশে আমার জন্ম, সীতারও মহাত্মা জনকের কুলে জন্ম। লক্ষ্মণ, তুমি ত জানই রাবণ দণ্ডকারণ্য হইতে সীতাকে হরণ করিয়াছিল বলিয়া আমি তাহাকে বধ করি। তখন আমার মনে হইয়াছিল সীতা বহুদিন লঙ্কায় ছিলেন, আমি কিরূপে তাহাকে গ্রহণ করি ? পরে সীতা আমার প্রত্যয়ের জন্ত তোমার ও দেবগণের সমক্ষে অগ্নিপ্রবেশ করিয়াছিলেন । এই অবসরে, দেবতাগণ ঋষিগণের সমক্ষে বলিলেন সীতা নিম্পাপ। আমার অন্তরাত্মাও জানিত সীতা সচ্চরিত্রা । তৎপরে আমি তাহাকে লইয়া অযোধ্যায় আগমন করিলাম। কিন্তু এক্ষণে এই অপবাদ শুনিয়া আমার হৃদয় বিীর্ণ হইতেছে।” (৭৪৪) রামের নয়নযুগল অশ্রুজলে পরিপূর্ণ হইয়া গেল। এই অকীৰ্ত্তির জন্ত তাহার মনে যে দারুণ সস্তাপ উপস্থিত হইয়াছে তাহার উল্লেখ করিয়া তিনি পুনৰ্ব্বার বলিতে - লাগিলেন “সীতার কথা কি, আমি অপবাদের ভয়ে নিজের প্রাণ এবং তোমাদিগকেও পরিত্যাগ করিতে পারি। এক্ষণে আমি অকীৰ্ত্তিজনিত শোকসাগরে নিপতিত হইয়াছি ; আমি জীবনে ইহা অপেক্ষ তীব্রতর যন্ত্রণা আর কখনও ভোগ করি নাই । অতএব, ভাই,
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।