ত্রয়োদশ অধ্যায় । Re> রোদন করিতে দেখিয়া অতিশয় শোকাকুল হইলেন এবং কোন ? গুরুতর বিপৎপাতের আশঙ্কা করিয়া যার পর নাই বিষণ্ণ হইলেন । সীতা নিৰ্ব্বন্ধাতিশয়সহকারে লক্ষ্মণকে বারম্বার রোদনকারণ জিজ্ঞাস। করিয়াও কোন সম্ভুক্তর পাইলেন না। তখন তিনি বলিলেন “বৎস, এক্ষণে তুমি এইরূপ অধীর হইও না । তুমি আমাকে গঙ্গাপার কর এবং তাপসগণকে দেখাইয়া দাও ; আমি তাহাদিগকে বস্ত্ৰালঙ্কার প্রদান করিব। পরে তাহাদের আশ্রমে এক রাত্রি বাস করিয়া র্তাহাদিগকে অভিবাদন পূৰ্ব্বক পুনরায় অযোধ্যায় যাইব । দেখ, আমারও সেই পদ্মপলাশলোচন রামকে দেখিবার নিমিত্ত মন অতিশয় চঞ্চল হইয়াছে।” (৭৪৬) লক্ষ্মণ অশ্রুপূর্ণলোচনে নাবিক সহিত এক নৌকা আনয়ন করিয়া দেবী জানকীর সহিত তৎসাহায্যে গঙ্গা সমুত্তীর্ণ হইলেন। সীতাদেবী নৌকা হইতে অবতরণ করিবামাত্র লক্ষ্মণ আর কোনমতেই প্রকৃতিস্থ হইতে পারিলেন না। তিনি বালকের ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে করিতে জানকীর পাদমূলে নিপতিত হইলেন এবং “দেবি, ইতঃপূৰ্ব্বে আমার মৃত্যু হইল না কেন ? তুমি আমাকে ক্ষমা কর ; এই লোকবিগহিত কার্য্যে নিযুক্ত হওয়া আমার উচিত নহে ; তুমি আমার অপরাধ লইও না” এই বাক্য উচ্চারণ করিয়া অতিশয় বিহ্বল হইয়া পড়িলেন। লক্ষ্মণকে এইরূপে বিলাপ করিতে দেখিয়া সীতা অতিশয় ব্যাকুল হইলেন। তিনি বললেন “বৎস, আমি কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। সমস্তই প্রকাশ করিয়া বল। মহারাজ ত কুশলে আছেন ? তিনি কি আমাকে কোন অপ্রিয় কথা শুনাইতে তোমার প্রতি আদেশ করিয়াছেন ? তুমি আর বিলম্ব করিও না ; সমস্তই বল । নানারূপ উৎকণ্ঠায় আমার মন অতিশয় চঞ্চল হইয়াছে।” ミツ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।