পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ অধ্যায়। (ੋਂ কেবল লোকাপবাদভয়েই সীতাদেবীকে অরণ্যে নিৰ্ব্বাসিত করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি ক্ষণকালের নিমিত্তও তাছাকে হৃদয়রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করেন নাই। রাম প্রিয়তম জানকীর অলেীকিক গুণে বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন এবং তিনি যে শুদ্ধচারিণী ও পবিত্র । স্বভাবা তদ্বিষয়ে তাচার বিন্দুমাত্র সন্দেহ ছিল না। পরস্পরের সম্বৰ্দ্ধিত অমুরাগে তাহারা দুচ্ছেদ্য প্রীতিবন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিলেন ; রাম সীতার পতিপরায়ণতা, সুশীলতা ও সরলতাতে যেরূপ একান্ত আকৃষ্ট হইয়াছিলেন, সীতাদেবীও স্বামীকে সেইরূপ আপনার একমাত্র দেবতা মনে করিয়া পূজা করিতেন। রাম প্রজারঞ্জনানুরোধে সেই করুণাপাত্রী পতিব্ৰতা জনকতনয়াকে বিসর্জন করিয়া শোকে বিমূঢ় হইলেন এবং নিজ অদৃষ্টলিপির বহুতর নিন্দ করিয়া করুণস্বরে বিলাপ করিতে লাগিলেন। অন্তৰ্ব্বত্নী,মুকুমারী, পতিপ্রাণ রমণীকে বিনা দোষে বনবাস দিয়া রাম হৃদয়ে কিছুতেই শান্তিলাভ করিতে সমর্থ হইলেন না, পরস্তু শত শত বৃশ্চিকদংশনের দ্যায় অসহ যন্ত্রণ অনুভব করিতে লাগিলেন। এই লোকবিগর্হিত নিষ্ঠুর কার্যের জন্ত র্তাহার মনে দারুণ সন্তাপ উপস্থিত চুইল। তিনি আহারনিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া অন্তঃপুরে কেবল অবিরলধারায় অশ্রমোচন করিতে লাগিলেন এবং রাজকাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিবার নিমিত্ত একবার ইচ্ছাও প্রকাশ করিলেন না। এইরূপে তিন দিন অতিবাহিত হইয়া গেল। চতুর্থাদনে লক্ষ্মণ শূণ্য রথ লইয়া অযোধ্যায় প্রত্যাগমন করিলেন। রাম লক্ষ্মণের মুখে আমুপুৰ্ব্বিক সমস্ত বিবরণ শ্রবণ করিয়া