চতুর্দশ অধ্যায় । や*。 বাল্মীকি এই আনন্দসমাচার অবগত হইয়। যারপরনাই হৃষ্ট হইলেন । সেইদিন কুমার শক্রত্ন লবণনাম এক দুৰ্দ্দাস্ত রাক্ষসের বধোদেশে সসৈন্তে গমন করিতে করিতে বাল্মীকির আশ্রমে নিশাযাপন করিতেছিলেন। তিনি রামচন্দ্রের কুমারদ্বয়ের জন্মবৃত্তাস্ত শ্রবণ করিয়া কর্ষোল্লাসে নিমগ্ন হইলেন । যে বালক অগ্রে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, বাল্মীকির অাদেশে বৃদ্ধার তাহার দেহ কুশের অগ্রভাগদ্বারা মার্জিত করিলেন ; এই নিমিত্ত তাহার নাম কুশ হইল। কনিষ্ঠের দেহ কুশের লব অর্থাৎ অধোভাগদ্বারা মার্জিত হইল, এই নিমিত্ত বাল্মীকি তাহার নাম লব রাখিলেন। সীতাদেবী পৱম সুন্দর পুত্রদ্ধয় লাভ করিয়া আনন্দাশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন । লবকুশ ঋষিপত্নীগণের যত্নে দিন দিন পরিবদ্ধিত হইয়। সীতার আনন্দবৰ্দ্ধন করিতে লাগিলেন। মহর্ষি বাল্মীকি র্তাহাদের সর্ববিধ সংস্কার সুসম্পন্ন করিলেন। কুমারের বয়োবৃদ্ধিসহকারে বালক-রামের স্তায় প্রতীয়মান হইতে লাগিলেন। তাহার। আকার প্রকার ও অঙ্গসৌষ্ঠবে সৰ্ব্বাংশে রামেরই অনুরূপ হইলেন । র্তাহার। তাপসকুমারের স্থায় বেশভূষা করিতেন বটে, কিন্তু বাল্মীকি তাহাদিগকে ক্ষত্রিয়োচিত সৰ্ব্বপ্রকার শিক্ষাই প্রদান করিয়াছিলেন । রামচন্দ্র সীতাসমুদ্ধার করিয়া অযোধ্যার রাজসিংহাসনে সমারূঢ় হইলে, একদা মহর্ষি বাল্মীকি দেবর্ষি নারদের সহিত কথোপকথন করিতে করিতে অবগত হইয়াছিলেন যে, মহাত্মা রামই জগতে প্রধান পুরুষ ও সৰ্ব্বগুণোপেত রাজা। দেবর্ষির উপদেশমুসারে বাল্মীকি পবিত্র রামচরিত ছন্দোবদ্ধ করিয়া লিপিবদ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হন ; এক্ষণে সেই মহাকাব্য সম্পূর্ণ হওয়াতে, তিনি নিজ প্রিয়শিষ্য কুমার লবকুশকে তাছা অভ্যস্ত করাইলেন। একদিন লবকুশ বাল্মীকির আশ্রমে সমবেত ঋষিগণের সমক্ষে রাগরাগিণীসহকারে বীণার স্তায় মধুর রবে রামায়ণ গান করিলেন। २१
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।