পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や>S গীতা । গোচর হইতেছে না! বাল্মীকি অগ্ৰে অগ্ৰে যাইতেছেন ; জানকী? রামকে হৃদয়ে অনুধ্যান পুৰ্ব্বক কৃতাঞ্জলি হইয়৷ সজলনয়নে অপনতমুখে তাছার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতেছেন ; তাহার পরিধান• কাষায় বসন, বেশ তাপসীর ন্যায়। বদনমণ্ডল অলৌকিক পবিত্রতাব্যঞ্জক, যেন এক দিব্য জ্যোতি সৰ্ব্বাঙ্গ হইতে নিঃস্ব ত হইতেছে । এই কাষায়বসনা ধ্যানপরায়ণা, আশ্রমবাসিনী, কঠোরব্রতধারিণী স্বপদনিহিতলোচনা জ্যোতিৰ্ম্ময়ী জানকীদেবীকে দেখিবামাত্র সভাস্থ সকলে শোকে দুঃখে অতিমাত্র আকুল হইয়া তুমুল কোলাহল করিয়া উঠিল। তৎকালে কেহ রামকে, কেহ সীতাকে এবং কেহ বা উভয়ুকেই সাধুবাদ করিতে প্রবৃত্ত হইল। মহর্ষি বাল্মীকি জানকীকে লইয়। জনসমূহের মধ্যে প্রবেশপূৰ্ব্বক রামকে কহিলেন “রাজন, এই তোমার পতিব্ৰতা ধৰ্ম্মচারিণী সীত। তুমি লোকপবাদভয়ে আমার আশ্রমের নিকট ইহঁাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলে। এক্ষণে ইছাকে অনুমতি কর, ইনি তোমার মনে আত্মশুদ্ধির প্রত্যয় উৎপাদন করিবেন। এই দুই যমজ কুশীলব জানকীর গর্ভজাত ; আমি সত্যই কহিতেছি, ইহার তোমার ঔরস পুত্র। আমি যে কখন মিথ্যা কছিয়াছি, তাহা আমার স্মরণ হয় না। এক্ষণে আমার বাক্যে বিশ্বাস কর, ইহার তোমারই ঔরসপুত্র। আমি বহুকাল তপস্তা করিয়াছি, এক্ষণে যদি জানকীর চরিত্রগত অনুমাত্রও ব্যতিক্রম ঘটিয়া থাকে, তবে আমায় যেন সেই সঞ্চিত তপস্তার ফলভোগ করিতে না হয়। আমি জানকীকে শ্রোত্রাদিপঞ্চেন্দ্রিয় ও মনে শুদ্ধচারিণী বুঝিয়া বন হইতে লইয়া আসি। এক্ষণে এই পতিপরায়ণ তোমার মনে আত্মশুদ্ধির প্রত্যয় উৎপাদন করিবেন। আমি দিব্যজ্ঞানে কহিতেছি, জানকী শুদ্ধস্বভাব ; তুমি ইহঁাকে পবিত্র জানিলেও কেবল লোকাপবাদে পরিত্যাগ করিয়াছ ৷’’ (৭৯৬)