উপসংহার। *Sసి অনন্তসাধরণ গুণাবলী সদর্শন করিয়াই দূরদর্শী মহর্ষিগণ সীতাসম্বন্ধে কত অভিমত প্রকাশ করিতেন, এবং রাজর্ষি জনক কোথাও - -ৰ্ত্যঙ্গর উপযুক্ত পাত্র না পাইয়া হরের ধনুৰ্ভঙ্গরূপ কঠোর পণে আবদ্ধ হইয়াছিলেন। সীতা মহাগুণাবলী লইয়৷ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু র্তাহার সৌভাগ্য এই যে, তিনি রাজর্ষি জনকের রাজোদানে লালিত পালিত হইয়াছিলেন। গীত ধৰ্ম্মের বাতাসে ও সুনীতির শিশিরসিঞ্চনে পরিবদ্ধিত হইয়া স্নিগ্ধদর্শিনী লতিকার দ্যায় পত্রপল্লবে মুশোভিত হইয়াছিলেন। রাজর্ধির উচ্চচরিত্র, ধৰ্ম্মানুরাগ, নিম্প হত ও কর্তব্যনিষ্ঠ। বলিক সীতার নিৰ্ম্মল হৃদয়ে প্রতিভাত হইয়া বদ্ধমূল হইয়াছিল। সীতা স্বয়ং শুদ্ধস্বভাব হইলেও জনকের অলৌকিক ধৰ্ম্মজীবন তাহার চরিত্রসংগঠনে যথেষ্ট সহায়তা করিয়াছিল। চন্দ্রকিরণে শত শত পুষ্পমুকুল যেরূপ বিকশিত হইয় উঠে,ধৰ্ম্মের উজ্জল আলোকে সীতার নিৰ্ম্মল মনোবৃত্তিনিচয়ও বয়োবৃদ্ধিসহকারে সেইরূপ পরিস্ফুট হইয়া স্বর্গের শোভায় পরিণত হইয়াছিল। লাবণ্যময়ী জানকী এখন উদ্ভিন্নযৌবন । বালিকাসুলভ সরলত। ও যেীবনমুলভ গাম্ভীৰ্য্য একত্র সম্মিলিত হইয়া তাঙ্গাকে স্বরবালার দ্যায় সৌন্দর্য্যশালিনী করিল। সীতা যেন আলোকময়ী ; সীতা যেন এক অলৌকিক জ্যোতি । উপযুক্ত পাত্রে সমৰ্পিত না হইলে এ আলোক মলিন হইবে, এ জ্যোতি বিলীন হইয়া যাইবে ; তাই জনকের চিস্তার পরিসীমা নাই ! সৌভাগ্যক্রমে সীতার অনুরূপ পাত্র মিলিল । পবিত্রস্বভাব রামের সহিত সীতার বিবাহ হইল। রাম সত্যপরায়ণ, শাস্ত প্রকৃতি ও তেজস্বী। ষোড়শবর্ষীয় বালক হইলেও, সিংহের ন্যায় র্তাহার পরাক্রম, আচলের ন্তায় তাহার গাম্ভীৰ্য্য, দাবানলশিখার ন্যায় তাহার উৎসাহ, পৃথিবীর ন্যায় তাহার ক্ষমা এবং মহর্ষির ন্যায় তাহার
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।