२२० সীতা । সৃত্যনিষ্ঠ ও ধৰ্ম্মানুরাগ। চরিত্রের তেজ ও দৃঢ়ত যেন মুখমণ্ডলে সঞ্চিত রঙ্গিয়াছে ! রাজকুমার রামচন্দ্র এই অল্প বয়সেই সৰ্ব্বজনপ্রিয় হইয়াছেন। ঋষিবৰ্গ তাহার পবিত্র চরিত্র গুণে একান্ত বিমুগ্ধ। তিনি স্বভাবসিদ্ধ পুণ্যতেজে প্রদীপ্ত। এই জ্যোতিষ্মান মহাপুরুষের সহিত জ্যোতিৰ্ম্মী সীতাদেবীব বিবাহ হইল । জ্যোতি জ্যোতিকে আলিঙ্গন করিল ; আলোক আলোকের সহিত মিলিত হইল ! আলোকে আলোকে সন্মিলন ! কি সুন্দর, কি পবিত্ৰ ! এরূপ বুঝি আর কখনও হয় না ! এই দিব্য সম্মিলন সহজেই সুসম্পন্ন হইল, কোন পক্ষ হইতেই অল্পমাত্র ও চেষ্টার প্রয়োজন হইল না । উভয়েই ধৰ্ম্মানুরাগী, উভয়েই বিশুদ্ধস্বভাব ; উভয়েরই হৃদয় কোটিচন্দ্রসমুদ্ভাসিত ; উভয়েরই সত্যে প্রীতি ও সাধুতায় বিশ্বাস ; উভয়েরই এক চিন্তা, এক আকাজা, এক চেষ্ট; উভয়েরই এক মন, এক প্রাণ, এক হৃদয় ; উভয়েই কি এক অজ্ঞাত, অলক্ষিত মহাজ্যোতির অভিমুণে অগ্রসর হইতে ব্যাকুল ; উভয়েই যেন এই পাতাপময় সংসার পরিত্যাগ করিয়া কোন এক দেবরাজ্যে বিচরণ করেন ; উভয়েই যেন দিব্যলোকবাসা, কি এক মহত্ত্বদেশুসাধনের জন্তই এই ধরাধামে অবতীর্ণ হইয়াছেন । উভয়েই যেন আনন্দরাজ্যের প্রজা, জগতে আনন্দজ্যোতি বিকীর্ণ করিতেই জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন! উভয়েই উভয়কে বুঝিলেন, মিলনও সম্পূর্ণ হইল । ইঙ্গারই নাম আধ্যাত্মিক মিলন ; এই মিলনই প্রকৃত ধিবfষ্ঠ । - রাজর্ষি জনকের গৃহে লালিত পালিত হওয়া সাতার যেরূপ সৌভাগ্য, রামের ন্তায় দুলভ স্বামিরত্ব লাভ করা সীতার তদপেক্ষাও অধিকতর সৌভাগ্য । পিতার স্নেহবারিসেকে যে লতা অস্কুরিত ও পরিবদ্ধিত হইয়াছিল, স্বামীর প্রেমবরিসিঞ্চনে তাহ পল্পবিত ও কুমুমিষ্ট হুইয়া লাবণ্যময়ী হইল। ব্রহ্মনিষ্ঠ জনকের গৃহে সীতা
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।