উপসংহার । s 3 চরিত্রে সে অঙ্কট জ্যোতি প্রকাশিত হুইবার উপক্রম করিতেছিল, দেবকল্প ভৰ্ত্তার কৃপাগুণে তাঙ্গ সম্পূর্ণরূপে পরিস্ফুট হইয়া সীতাকে অলৌকিক মহিমায় উদ্ভাসিত ও স্বৰ্গীয় গৌরবে નોબુ করিল। পিতৃগৃহে সীতার অন্তর্নিহিত যে আলোক বৃক্ষ লতা, পুষ্প ফল, বন উপবন, পশু পক্ষী, পিতা মাতা, দাস দাসী ও নরনারী মাত্রেরই উপর পতিত হইয়া সকলকে অপার্থিব শোভায় সুশোভিত করিত, এক্ষণে সেই আলোক সহসা ঘনীভূত ও শতগুণে উজ্জ্বলীকৃত ইয়া রামের অন্তর্বাহ ওতপ্রোতরূপে আচ্ছন্ন করিল, এবং তাহার অভ্যন্তর দিয়া জগৎব্রহ্মাণ্ডের উপর মুস্নিগ্ধ কিরণধারারূপে বিকীর্ণ হইয়। পড়িল । স্বৰ্য্যপ্রভা যেন চন্দ্রমগুলে নিপতিত হুইয়া সুশীতল জ্যোৎস্নাজালরূপে ধরাতল আলোকিত করিল। রামকে ভালবাসিয়া সীতা যেন দেবতা হইয়া গেলেন । বিশ্বব্রহ্মাও যেন দেব রাজ্যে পরিণত হইল! স্বর্গের দ্বার যেন উদঘাটিত হইল! সৌন্দর্য্যধারা যেন প্রবাহিত হইতে লাগিল ! আকাশ যেন স্বগীয় সঙ্গীতে পরিপূর্ণ হইল! সীতার হৃদয়ে যেন শত বীণার ঝঙ্কার হইতে লাগিল ! সীতার দিব্য চক্ষু যেন উন্মালিত হইল ! গীতা সৌন্দর্য্যের মধ্যে যেন সৌন্দৰ্য্য দেখিতে লাগিলেন ; প্রকৃতি যেন নববেশ ধারণ করিল ; অনস্ত পবিত্রতাসাগরে সীতা খেন নিমজ্জিত হইলেন ; অনন্ত সৌন্দর্য্যের সহিত সীতা যেন মিলিত হইলেন ; অলৌকিক জ্যোতিরাশির মধ্যে সীতা যেন সঞ্চরণ করিতে লাগিলেন ! সীতার আত্মা "যেন বিশ্বময় পরিব্যাপ্ত হইয়া গেল ; এতদিনে সীতা যেন প্রকৃতই পূর্ণ তৃপ্তি লাভ করিলেন । সাঁতার জীবন যেন বাস্তবিক ধন্ত হইয়া গেল ! তখন সীতা বুঝিলেন যে “পিতা মাতা ও পুত্র, ইহার কেবল পরিমিত বস্তুই দান করিয়া থাকেন ; কিন্তু জগতে স্বামী ভিন্ন অপরিমেয় পদার্থের দাতা আর কেহই নাই।” ( ৫৮ পূঃ) তাই পতিই সীতার দেবতা হইলেন ;
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।