२२२ সীতা । তাই পতিই সীতার ধৰ্ম্ম, পতিই সীতার স্বর্গ এবং পতিই সীতার একমাত্র মুক্তি । এহেন পতি আজ বনবাসে যাইতেছেন। পতি গৃহেই থাকুন আর বনেই গমন করুন, তিনিই সীতার একমাত্র গতি ; “পতির সহবাসই স্বৰ্গ, বিচ্ছেদই নরক ;” পতি ভিন্ন পতিপ্রাণার মুখ ও মুখসাধন আর কি আছে ? সুতরাং রামের যখন বনবাস আদেশ হইয়াছে, ফলে সীতারও তাহাই ঘটিয়াছে ; ইহাই সীতার সরল স্বাভাবিক যুক্তি । রাম বনবাসের ভয় দেখাইলেন, কিন্তু বুঝিলেন না যে র্তাহার সহবাসে অরণ্য সীতার পক্ষে পিতৃগৃহ অপেক্ষা ও সুখকর হইবে ; প্রকৃতির প্রিয়তম দুহিত। তাহাকে কেমন মনোহর রাজোদ্যানে পরিণত করিয়া লইবেন । রামের সহিত তপস্যা হউক, অরণ্য বা স্বৰ্গ হউক, কোনটিতে সীতা সঙ্কুচিত নহেন। অরণ্যের কষ্ট সীতার নিকট কষ্টই নহে। “আমি যখন তোমার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইব, পথ সুপশয্যার দ্যায় বোধ হইবে, তাহাতে কোনরূপ ক্লান্তি অনুভব করিব না। কুশ, কাশ, শর ও ইষীক প্রভৃতি যে সকল কণ্টক বৃক্ষ আছে, আমি তাহা তুল ও মৃগচৰ্ম্মের ন্যায় মুখস্পর্শ বোধ করিব। প্রবল বায়ুবেগে যে ধূলিজাল উড্ডীন হইয়। আমায় আচ্ছন্ন করিবে, তাহা অত্যুত্তম চন্দনের ন্তায় জ্ঞান করিব।” (৫৪ পৃঃ) অরণ্যবাস সীতার অপ্রীতিকর হইবে না; সীতা স্বামীর সহিত আশ্রম পর্যটন করিতে কতবার ইচ্ছা করিয়াছেন ; স্বামীর চরণযুগল গ্রহণ কৰিয়া প্রকৃতিত্ত্বহিত প্রকৃতির স্বহস্তরোপিত উদ্যানে বাস করিতে কত বার সাধ করিয়াছেন! সীতা স্বামীর সহিত ভ্রমণ করিতে করিতে কত নদ, নদী, গিরি, গুহ, বন, উপবন দর্শন করিবেন ! গীতার অরণ্যবাসে बिछ्रुर्भ नाहे ; उरब ब्रांम पनि जैौऊारक गएक गहेट्रङ ७कांढहे श्राशखि করেন, তাহা হইলে সীতা বিষপান করিয়া নিশ্চয়ই প্রাণত্যাগ করিবেন।
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/২২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।