তৃতীয় অধ্যায়। ३१ প্রদর্শন করিতে লাগিল! এদিকে মহারাজও প্রিয়তম রামচন্ত্রকে ঈদৃশ লোকপ্রিয় দেখিয়া মনে মনে অতিশয় আনন্দিত হইলেন। বাৰ্দ্ধক্যপ্রযুক্ত তিনি আর পূর্ববং রাজ্যপালনে সক্ষম ছিলেন না, সুতরাং লোকাভিরাম রামচন্দ্রকেই যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিয়া স্বয়ং ৰানপ্রস্থ অবলম্বন করিৰার সঙ্কল্প করিলেন। এতদুদেশে তিনি অনতিবিলম্বে মন্ত্রিগণের সহিত পরামর্শ করিয়া কোশল রাজ্যের নানা নগর ও জনপদ হইতে অধীন রাজা সামস্ত ও অন্যান্য প্রধান ব্যক্তিগণকে আহবান করাইলেন এবং মর্য্যাদানুসারে তাছাদিগকে বাসগৃহ ও নানাপ্রকার আভরণ প্রদান করিলেন। ... পূৰ্ব্বকালে ভারতবর্ষীয় রাজগণ প্রবলপ্রতাপান্বিত হইলেও প্রজারঞ্জনবৃত্তি তাহদের অন্তরে বড়ই বলবতী ছিল। প্রজাপুর রাজগণকে । দেবতুল্য জ্ঞান ও পুজা করিত ; আর তাহারাও কদাপি যথেচ্ছাচারী হইতেন না। র্তাহারা সুদক্ষ সচিববর্গের পরামর্শ না লইয়া কোন কাৰ্য্যই করিতেন না ; এবং রাজ্যসম্বন্ধীয় গুরুতর কর্তব্যবিষয়ে রাজ্যস্থ প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণেরও পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। এই আহুত ব্যক্তিগণ স্বাধীনভাবে আপনাদের মতামত প্রকাশ করিতেন এবং রাজভয়ে ভীত হইয়া কখন কোনও অন্যায় কার্য্যের পোষকতা করিতেন না। রাজগণকেও ইহঁদের মতামতের উপর শ্রদ্ধাবাৰু হইয়া চলিতে । হইত। মহারাজ দশরথ রামচজকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিবার অভিলাষে এই প্রাচীন প্রধানুসারেই স্বরাজ্যস্থ প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণকে স্বাহান করাইয়া সকলের সহিত সঙ্গভবনে উপস্থিত হইলেন। - - . . ... . . জনম্ভর গভীভবনে সকলে সমবেত হইয়া উপবেশন করিলে, মইরাজ গভীৱস্বরে চতুৰুি প্রতিধ্বনিত করিয়া পারিষদবর্গকে আমন্ত্রণ ও তাহদের অভিনিবেশ জাকর্ষণ পূর্বক রাজ্যের অঙ্কীর্তন
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।