চতুর্থ অধ্যায়। - • ঘটয়া গেল। ভরত জন্মায়ুক্রমে রাজার দ্বিতীয় পুত্র হইলেন। কৈকেয়ী সুশীল পুত্র লাভ করিয়া আনন্দিত হইয়াছিলেন, মন্থরার স্তার দূরদর্শননিবন্ধন সে আনন্সম্ভোগে কিছুমাত্র বঞ্চিত হন নাই। তিনি মহারাজের অন্যান্য পুত্রগণকেও নিজ পুত্রের ন্যায় যথেষ্ট স্নেই করিতেন, বিশেষতঃ রামের সাধুতা সত্যপরায়ণতা ও ভ্রাতৃবৎসলত। দেখিয়া তাহার গুণের বড়ই পক্ষপাতী ছিলেন। রাম যখন সৰ্ব্বজনপ্রিয় ছিলেন, তখন কৈকেয়ীর স্নেহভাজন হইবেন না কেন ? এ পর্য্যস্ত রামের প্রতি কৈকেয়ীর মনে কোন বিরুদ্ধভাবই উৎপন্ন হয় নাই । দুষ্ট মন্থর হলাহল উদগীরণ করিয়া এখনও কৈকেয়ীর সরল মন বিষাক্ত করিতে সমর্থ হয় নাই। মন্থর বুদ্ধিমতী, তাই সুযোগের প্রতীক্ষা করিতেছিল এমন সময়ে দৈবক্রমে সেই সুযোগ আসিয়া উপস্থিত হইল । রামের রাজ্যাভিষেকবার্তা প্রচারিত হইবামাত্র, অযোধ্যানগরী হইতে এক মহান উৎসবকোলাহল সমুখিত হইয়াছিল। মন্থরা সেই কোলাহলের কারণ অবগত হইবার নিমিত্ত এক উচ্চ প্রাসাদশিখরে আরোহণ করিল, এবং চতুর্দিকে দৃষ্টিসঞ্চালন করিয়া দেখিতে পাইল । যে, গৃহে গৃহে ধ্বজপতাকাসকল উডীন হইতেছে ; রাজপথসকল পরিস্কৃত জলসিক্ত ও পুষ্পমালায় সমলস্কৃত হইয়াছে ; নগরীকে আলোকমালায় সুসজ্জিত করিবার নিমিত্ত পথের উভয়পাশ্বে বৃক্ষাকার আলোকস্তম্ভসকল সংস্থাপিত হইয়াছে ; দেবগৃহ সকল মুধাধবলিষ্ঠ হইতেছে এবং নাগরিকেরা বিচিত্র বস্ত্র মাল্য ও অলঙ্কার ধারণ করিয়া মহোল্লাসে ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতেছে। মন্থর এক ধাত্রীকে সম্মুখে, দেখিয়া ব্যগ্রভাবে তাহাকে এই উৎসবের কারণ জিজ্ঞাসা করিল। ধাত্রী মন্থরাকে প্রকৃত সংবাদ জ্ঞাপন করিল। পরদিন প্রভাতে রাম যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইবেন, এই সংবাদ শ্রবণমাত্র কুজার আশা
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।