Yog সীতা । প্রদীপ নিৰ্ব্বাণোন্মুখ হইল। এতদিনে কৌশল্যাকুমার রামচন্দ্র তৰে সত্যসত্যই রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিলেন, এতদিনে তবে কৈকেয়ীর সৌভাগ্যরবি অস্তমিত হইতে চলিল ও রাজকুমার ভরতের ভাগ্যে পরাধীনতাই নির্দিষ্ট হইল। কুজার ক্ষুদ্র হৃদয়রাজ্যে এক ছুমুল বিপ্লব উপস্থিত হইল, চিন্তার ঘাত প্রতিঘাতে দুষ্ট অবসর হইয়। পড়িল। তাহার চক্ষে ভরত ও কৈকেয়ীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় বোধ হইল। রাত্রি প্রভাত হইলেই রাম রাজা হইবেন ; রাম রাজসিংহাসনে একবার আরোহণ করিলে, আর কেহ কি তাহাকে তাহ। হইতে বিচুত কৱিতে সমর্থ হইবে? তবে কি ভরতের আর কোন উপায় নাই ? সহসা বৃদ্ধ স্থির হইল, সহসা তাহার কুটিল চক্ষু সমুজ্জল ও মুখমণ্ডল প্রসন্ন ছইল, বোধ হইল যেন সে অন্ধকার মধ্যে আলোক দেখিয়াছে, নৈরাপ্তের মধ্যে আশা পাইয়াছে! কুজা আর কালবিলম্ব মা করিয়া ত্বরিতপদে অন্তঃপুরমধ্যে প্রবেশ করিল। মন্থর কৈকেয়ীর গৃহে প্রবিষ্ট হইয়াই বলিল “কৈকেয়ি, তুমি নিজ মুখ ও সৌভাগ্যচিত্তাতেই নিমগ্ন আছ; তোমার গৃহের বহির্ভাগে ষে সকল গুরুতর ব্যাপার সংঘটিত হইতেছে তাহার কি কোন সংবাদ রাখ ? তুমি আপনাকে রাজার প্রিয়তম মহিষী মনে করিয়াই সৰ্ব্বদ গৰ্ব্ব করিয়া খাক, কিন্তু এতদিনে তোমার সে মুখস্বপ্ন ভাঙ্গিবার উপক্রম হইয়াছে।” কৈকেয়ী মন্থরার ব্যঙ্গসূচক এই অভিনব বাক্যগুলি শ্রবণ করিয়া তাহাকে সমস্ত রহস্তই প্রকাশ করিতে বলিলেন। মন্থ : রার মুখে রামের রাজ্যাভিষেকবার্তা শ্রবণ করিয়া সরলদ্ধদয়া কৈকেয়ী হর্ষে মুহমান হইলেন ; তিনি প্রতিভরে তৎক্ষণাৎ নিজ অঙ্গ হইতে এক বহুমূল্য ভূষণ উন্মোচন করিয়া মন্থরাকে পারিতোষিক প্রদান করিলেন। স্থলবুদ্ধি কৈকেয়ীর এই অপ্রত্যাশিত আচরণ দর্শন কম্বিয়া মন্থর ক্ষোতে ও রোবে ভীষণমূৰ্ত্তি ধারণ করিল। কিঙ্করী
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।