পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। • অথবা তাহার প্রতি কি কোন কৰ্ত্তব্যের ক্রটি হইয়াছে ? রাজা ব্যাকুল ভাবে বারম্বার এইরূপ প্রশ্ন করিলেও কৈকেয়ী নিরুত্তর রহিলেন । কিয়ৎক্ষণপরে তিনি বাস্পাকুললোচনে গদগদম্বরে বলিতে লাগিলেন “নরনাথ, আমার শরীর অমুস্থ হয় নাই, আমাকে কেহ অবজ্ঞা করে নাই এবং আমার প্রতি বিশেষ কোন কৰ্ত্তব্যেরও ক্রটি হয় নাই ; কিন্তু তোমার কাছে আমার কোন প্রার্থনা আছে, তুমি যদি তাহ পূর্ণ করিতে প্রতিশ্রত হও, তাহ হইলে আমার মনোমালিন্ত দূরীভূত হইতে পারে, অন্যথা আমি তোমার সমক্ষেই এই প্রাণ বিসর্জন করিব।” রাজা মহিষীর এই বাক্য শ্রবণ পূৰ্ব্বক সহাস্তবদনে শপথ করিয়া তাহার প্রার্থন পূর্ণ করিতে প্রতিজ্ঞা করিলেন। সুচতুরা কৈকেয়ীও অবসর বুঝিয়া সত্যব্রত রাজাকে সত্যপাশে বদ্ধ করিলেন এবং হিতৈর্ষিণী মন্থরার উপদেশক্রমে যে বিষ উদগীরণ করিলেন, তাহাতে কিয়ৎকাল মধ্যে সেই বিশাল রাজসংসার জর্জরিত হইয়া শ্মশানতুল্য ভীষণ আকার ধারণ করিল। কৈকেয়ী সম্বরযুদ্ধের কথা উল্লেখ করিয়া কহিলেন “রাজন, তুমি তৎকালে আমার শুশ্রুষায় প্রীত হইয়া আমায় দুইটি বর দিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিলে ; আমি তখন বর প্রার্থনা করি নাই, উপযুক্ত সময়ে প্রার্থনা করিব বলিয়াছিলাম, অদ্য তাহা প্রার্থনা করিতেছি। প্রথম বরে কলাই তুমি রামচন্ত্রকে চতুর্দশবর্ষ দণ্ডকারণ্যে নিৰ্ব্বাসিত কর, আর দ্বিতীয় বরে রামের পরিবর্তে আমার পুত্র প্রাণীধিক ভরতকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত কর। তুমি আপনার পূর্বপ্রতিজ্ঞ পালন করিয়া সত্যের মর্য্যাদা রক্ষা কর, এক্ষণে তোমার নিকট আমুর ইহাই প্রার্থনা।” কৈকেয়ীর এই নিদারুণ প্রার্থনা শ্রবণ করিয়া দশরথ বজাছত মথবা ভূতাবিষ্টের প্রায় সহসা নিশ্চেষ্ট হইলেন। তাছার মুখমণ্ডল ।